পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎবন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঘোষিত ‘চল চল ঢাকা চল’ ও ‘মহাসমাবেশ’ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ভালো কথা। আমরা তাদের কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি, কর্মসূচিকে সমর্থনও করছি। আমরা (বিএনপি) মাঠে নেমে বিরোধিতা করবো কি না- সেটা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপরে। কারণ আমরা একটা দাবি জানিয়েছি, আমরা অপেক্ষা করবো, সেই দাবির প্রতি তারা কীভাবে রেসপন্স করছে। এর আগে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রামপাল প্রকল্পটি দেশবিরোধী দাবি করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের কাছ থেকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে যে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, তা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ঠেলে দেবে দাবি করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বাম দলগুলো।
রামপালে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি আদায়ে গত ২০ অগাস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। কর্মসূচি শেষে সরকারকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ২৪ নভেম্বর থেকে ‘চল চল ঢাকা চল’ এবং ২৬ নভেম্বর ঢাকায় ‘মহাসমাবেশের’ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়। দাবি আদায়ে এই নাগরিক সংগঠনটি এর আগে রামপাল অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিও পালন করেছে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকালে সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তারা দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আজকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করে শপথ নিয়েছেন যে, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা, মানুষের সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষা করা- তা করবে।
খালেদা জিয়ার রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ যে কোনো বিষয়কে ডায়ভার্ট করার জন্য যে প্রচেষ্টা, সেটাই করছে। বিএনপি এবং বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া সবসময় বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে কাজ করেছেন, করছেন।
তিনি দেশের মানুষের পক্ষে আন্দোলন করেছেন, তাদের স্বার্থকে তুলে ধরেছেন। এই স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে আমাদের সুন্দরবন, যেটা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেটাকে রক্ষা করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রামপাল থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিএনপি কোনো অবস্থাতেই দেশে আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ার বিপক্ষে নয় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন স্পষ্ট করে বলেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও বেশি নির্মাণ হউক, সেটা আমরা চাই। কিন্তু সেটা কোনো অবস্থাতেই সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নয়। আমাদের অনেক জায়গা আছে, অনেক বিকল্প পথ আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, এদেশের মানুষ একমত যে, সরকারের উচিৎ রামপাল থেকে সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প সরিয়ে নেয়া সুন্দরবন রক্ষা ইস্যুতে বিএনপি কর্মসূচি দেবে কি না- জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, এটা নির্ভর করবে সরকার কীভাবে রেসপন্স করছে। সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে বিএনপির আচরণ।
রামপালে ওই প্রকল্প এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ জাতীয় স্বার্থে বিরুদ্ধে এই কাজটি করছে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই কাজটি করছে। সুতরাং তারা বিভিন্ন রকম কথা বলে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চাচ্ছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।