পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেবেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানায়। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্রের কার্যালয়ের গণমাধ্যম সম্পর্ক বিষয়ক পরিচালক এলিজাবেথ ট্রুডো জানান, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী ও বিস্তৃত সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আগামী ২৯ আগস্ট ঢাকা সফরে আসছেন।
এদিকে জন কেরির ঢাকা সফর নিয়ে চুড়ান্ত প্রস্তুতি সারছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যেই জন কেরির নিরাপত্তা বিষয়ক টীমের সদস্যরা ঢাকায় তার নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এলিজাবেথ ট্রুডো তার বিবৃতিতে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ঢাকা সফর শেষে আগামী ২৯-৩১ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি ভারতের নয়াদিল্লী সফর করবেন বলেও জানান ট্রুডো। সেখানে তিনি ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। ৩০ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি প্রিৎস্কার যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সংলাপ (স্ট্র্যাটেজিক এন্ড কমার্শিয়াল ডায়ালগ -এসএন্ডসিডি)-এ সহ-সভাপতিত্ব করবেন।
প্রসঙ্গত, ‘এসএন্ডসিডি’ যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যকার টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, জীবিকা, ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী টেকসই আইনের শাসন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি স্বাক্ষর প্রক্রিয়া।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ঢাকা সফর সফল করতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। সূত্র জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা একটি প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখছেন। বিশেষ করে যেসব স্থান দিয়ে জন কেরি যাতায়াত করবেন। এছাড়া এখানকার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথেও তারা কথা বলছেন। এছাড়া জন কেরির সঙ্গে যে সাংবাদিক দল আসবেন, তাদের বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশের জন্য পাসের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে। কেরির ঢাকা সফর উপলক্ষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও গত বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে দেখা করেন।
তবে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে কোনো সহযোগিতা কিংবা একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে সরকারকে ভেবে-চিন্তে এগুনোর পরামর্শ তাদের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জন কেরির বাংলাদেশ সফরকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও অনেকেই আবার বলছেন কেরির ভারত সফরেরই প্রাক প্রস্তুতির অংশ এ সফর।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিশেষজ্ঞ এম শাহীদুজ্জামান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান।
তারা চাইছেন, নিরাপত্তা ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনায় প্রাধান্য পাক জিএসপি সুবিধা, ওষুধ রপ্তানিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জন কেরির সফরের তাৎপর্য বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ওয়াশিনটনে যেই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, আমি মনে করি না মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জয়লাভ করুক, তার কোনও প্রভাব বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।