পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পরিকল্পনা করেছিল ফাহাদ অ্যান্ড মায়শা পরিবহনের (সিলেট-জ-১১০২২৩) চালক ও তার সহকারীরা। তবে তরুণী বাস থেকে লাফিয়ে রক্ষা পান। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক হাসিব আজিজ।
তিনি বলেন, বাসটির চালক শহীদ মিয়াকে (২৬) আমরা সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছি। এর আগে পিবিআই বাসটির কন্ট্রাকটর রশীদকে গ্রেফতার করে। রশীদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে দোষ স্বীকার করেছে। তার দেয়া জবানবন্দির সঙ্গে বাসচালক আমাদের কাছে যে প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে তার মিল রয়েছে। ভিকটিমের বর্ণনার সঙ্গেও মিল রয়েছে।
হাসিব আজিজ জানান, বাসটি সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে যাচ্ছিল। সুনামগঞ্জের ১৬ কিলোমিটার আগে একটি বাইপাস রয়েছে, সেই বাইপাস হয়ে দিরাইয়ে তরুণীকে নামিয়ে দিয়ে সুনামগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীরা সব নেমে যাওয়ার পর বাসচালক স্টিয়ারিং হুইল হেলপার বক্করের কাছে দিয়ে তরুণিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাসটি তখন চলছিল বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, তরুণীকে চুলের মুষ্টি ধরে চালক পেছনে নিয়ে যায়। এরপর তরুণীর ব্যাগ ধরে টানাটানি করে। ব্যাগ সামনে রেখে তরুণী নিজেকে সেভ করার চেষ্টা করে। চালক ব্যাগ টেনে ছিঁড়ে ফেলে। ব্যাগের জিনিসপত্র সব বাসের ভেতরে পড়ে যায়। তরুণী চালককে প্রতিহত করে সামনে এসে দরজা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন এবং চিৎকার শুরু করেন। এরপর গ্রামবাসী এলে বাসটি পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী তরুণীকে উদ্ধার করে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধারণা করছি, বাস চালক, কন্ট্রাকটর ও হেলপার সংঘবদ্ধ হয়ে ‘গ্যাং রেপের’ পরিকল্পনা করছিল। সিআইডির অতিরিক্ত উপপুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, পলাতক হেলপার আবু বক্করকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকালে ওই তরুণির দুলাভাই সিলেট থেকে ফাহাদ অ্যান্ড মায়শা পরিবহনে তুলে দেন তাকে। এ বিষয়ে ওই দিন সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে। বাসের হেলপার বক্কর এখনও পলাতক। ভিকটিম তরুণী চিকিৎসা শেষ বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন। তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।