পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্দেশনা ছিল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভিভাবকদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেয়া হবে। তবে কিছু কিছু অভিভাবক সন্তানের নতুন বই পাওয়ার আনন্দে সে কথা ভুলে গেছেন। কোনো কোনো স্কুলে মাস্ক না পরেই আসছেন অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা। এভাবেই তারা ভিড় ঠেলে বই নিচ্ছেন। কিছু স্কুলে শিক্ষকরা চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারছেন না। বই বিতরণের প্রথম দুইদিন (১ ও ২ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুল ড্রেস পরে এসেছে। আবার কেউ কেউ নতুন জামা পরে অভিভাবকদের সঙ্গে বই নিতে উপস্থিত হয়েছে। তবে নতুন জামার সাথে তাদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে অভিভাবকরা সন্তানের বই নেয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না।
এছাড়া অনেক স্কুলেই অভিভাবকরা গেটের সামনে তাদের সন্তানদের নিয়ে ভিড় করে বই নিচ্ছেন। শিক্ষকরা বারবার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারছেন না।
মিরপুর ১ নম্বরের উপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ৯টা থেকে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসে বই নিচ্ছেন। তবে শারীরিক দূরত্ব না মেনে তাদের গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় অন্তত ২০ জন অভিভাবকের কেউই সারিবদ্ধভাবে না দাঁড়িয়ে ভিড় তৈরি করেছেন। ভিড়ের মধ্যে দাঁড়ানো আসমা আক্তার নামে একজন অভিভাবকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকালে আসছি, এখনো বই পাচ্ছি না। এজন্য সামনে আসছি। বাচ্চাকে নিসে এসেছি। বই নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে।
এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু অভিভাবকরা কথা শুনতে চান না। তারা অকারণে ভিড় তৈরি করছেন। নানান চেষ্টা করেও তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছি। দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষকরা অভিভাবকদের হাতে বই তুলে দেবেন, এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৯০ শতাংশ পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণের সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করছেন। তারপরও কিছু অসচেতন অভিভাবক দ্রুত বই নেয়ার জন্য ভিড় করছেন। তাড়াতাড়ি না নিলে শেষ হয়ে যাবে এমন চিন্তা করে তারা শৃঙ্খলা নষ্ট করছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।