পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতার ইস্যু খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে টিকে থাকতে চান খালেদা জিয়া। কিন্তু এতে তার শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
গতকাল বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হানিফ এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি ভাবছেন কিছু বাম সংগঠন রামপাল নিয়ে কথা বলছে, তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ ইস্যু নিয়ে কথা বলে টিকে থাকা যায় কিনা। টিকে থাকার কোনো সুযোগ নেই। ডুবন্ত মানুষের মতো খড়কুটো ধরে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব ও জনবান্ধব দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে হানিফ বলেন, রামপাল পরিবেশ বিনষ্টকারী কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়। ইতোমধ্যে জনগণ থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। তাই জনগণের কিছুটা কাছে যাওয়ার জন্য আপনি নতুন একটা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছেন। সেই ইস্যুটা হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে, খালেদা জিয়া আপনি ডুবন্ত মানুষের মতো খড়কুটো আঁকড়ে ধরে ভাসার যে চেষ্টা করছেন, এই রামপাল ইস্যু নিয়ে আপনার ভাসার কোনো সুযোগ নেই। আপনার রাজনীতি বহু আগেই ডুবে গেছে। আপনি নিজেই তা ডুবিয়ে দিয়েছেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সরকার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে পরিবেশের বিষয়টি গভীরভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে পারিÑ পরিবেশের ক্ষতি হয়, সুন্দরবনের ক্ষতি হয় এই ধরনের ভুল পদক্ষেপ এই সরকারের নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, আমাদের সরকার, জনগণের সরকার। তিনি বলেন, যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়, সেই সরকার পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের নেতাকর্মীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাঁদার বিষয়ে হানিফ বলেন, আপনার একজন কর্মী ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন বলে আপনি আবেগতাড়িত হয়ে গেছেন। আপনার কি মনে আছে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। তখন আপনার মনে মানবাধিকার জেগে ওঠেনি। আপনাদের কর্মীরা তো ঢাকায় রিকশা চালিয়ে বেঁচে আছেন। আর আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে আপনাদের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে।
খালেদা জিয়া এখন রামপাল ইস্যু নিয়ে ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মই হয়েছে ভারতবিরোধী দিয়ে। পাকিস্তান কখনও ভারতের পক্ষে হতে পারে? খালেদা জিয়া তো পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সৃষ্টি। এঁদের রাজনীতি ভারতবিরোধী। খালেদা জিয়া বহুবার প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিএনপি এখনও আইএসআইয়ের দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু তখনই অবাক হতে হয়, যখন দেখা যায় ভোল পাল্টে তারা ভারতের পদলেহন করতে যায়, তখন মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে দলীয়ভাবে আরও তথ্য ও উপাত্ত জনগণের জানানো হবে বলে জানান হানিফ।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ভোলা, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।