পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জে পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মামলায় মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। গতকাল নারায়ণগঞ্জের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক বলেন, আরও আটজনের বিরুদ্ধে সসম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করার প্রস্তুতি চলছে। তারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হওয়ায় প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে চার্জশিট দাখিল করা হবে। তবে যে ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- আব্দুল গফুর মিয়া (৬০), শামসুদ্দিন সর্দার (৬০), সামসু সরদার (৫৭), শওকত আলী (৫০), অসীম উদ্দিন (৫০), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪৫), নাঈম সরদার (২৭), তানভির আহমেদ (৪৫), আল-আমিন (৩৫), আলমগীর সিকদার (৩৫), মাওলানা আল আমিন (৪৫), সিরাজ হাওলাদার (৫৫), নেওয়াজ মিয়া (৫৫), নাজির হোসেন (৫৬) আবুল কাশেম (৪৫), আব্দুল মালেক (৫৫), মো. মনিরুল (৫৫), স্বপন মিয়া (৩৮) আসলাম আলী (৪২), আলী আজম ওরফে মিল্কি (৫৫), মো. কাইয়ুম (৩৮), মামুন মিয়া (৩৮), দেলোয়ার হোসেন, বশির আহমেদ হৃদয় (২৮), মোহাম্মদ রিয়েল (৩২), আরিফুর রহমান (৩০), মোবারক হোসেন (৪০) এবং রায়হানুল ইসলাম (৩৬)।
বাকি যে আটজনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়ার জন্য সিআইডি সরকারের অনুমতি চেয়েছে, তারা হলেন- মো. সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান রাব্বি, মানিক মিয়া, এসে এম হাসান শাহরিয়ার, মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী, মো. আইয়ুব আলী, মো. ইসমাইল প্রধান এবং মো. হানিফ মিয়া।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সঠিকভাবে মসজিদ পরিচলনায় কমিটির অবহেলা, অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতা, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা, কারিগরি দিক বিবেচনা না করে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া, গ্যাসের উপস্থিতি জানার পরও তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা না নেয়া, মসজিদের ভেতরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, তিতাসের কর্মীদের দায়িত্বে অবহেলা, গ্যাস লাইন তদারকি না করা, পাইপের ছিদ্র মেরামত না করা, ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস লাইন স্থানান্তরের কারণে ওই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও প্রাণহানি ঘটে বলে সিআইডির তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে এ ঘটনায় মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার অবহেলার প্রমাণ পায় সিআইডি। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর চার প্রকৌশলীসহ ফতুল্লার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের আটজনকে গ্রেফতার করে তারা।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট ও গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই মসজিদে বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত মুসুল্লিø দগ্ধ হন। পরে শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মধ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।