Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতা বিরোধী ও দখলদাররা যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে

ভাসমান সভায় নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৯ এএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী রক্ষার ব্যানার ব্যবহার করে অবৈধ দখলদার ও স্বাধীনতা বিরোধিরা তৎপর রয়েছে। এরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধিরা সংকুচিত ও দুর্বল হয়ে গেছে। তারপরেও তারা আবার ছোবল মারতে পারে। সামাজিক আন্দোলনের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পারে। স্বাধীনতা বিরোধিদের শুধু পরাজিত নয়, তাদেরকে নির্মূল করতে হবে।

গতকাল প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে জাহাজে স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ‘নদীও মুক্তিযোদ্ধা’ শীর্ষক ভাসমান সভায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়নের অগ্রগতি ও সোনার বাংলা নির্মাণের পরিকল্পনা ধ্বংসের জন্য এসময়ে শক্ররা ঐক্যদ্ধ হচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, কিছু কুলাঙ্গার দেশবিরোধি গোষ্ঠি যারা ১৫ আগস্ট তৈরি করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধিদের মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এমপি বানিয়েছে, তারাই মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত করতে চায়। তাদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধিরা একাত্তরে আত্মসর্ম্পণ করেছিল, পরাজিত হয়েছিল। এবারও তারা পরাজিত হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, গর্বের বিষয়। আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, এটাই মুক্তিযুদ্ধের অংশিদার। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীন দেশ, জাতীয় সংগীত ও পতাকা দিয়ে পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ কোন ঠুনকো বিষয় নয়। কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধকে কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায়না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে পারলে ভাল কাজ করতে পারব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক শক্তি নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল। নদী আমাদের জীবনের একটি অংশ এবং অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি ধরে রাখে নদী। নদীকে প্রবাহমান ও নাব্য রাখতে পারলে আমাদের মুক্তি আসবেই। নদীগুলোকে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মধ্যে এনে নাব্যতা ধরে রেখে উন্নয়নের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, নদীপথ রক্ষার বিষয়টি বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে অনুভব করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু নৌপথ খননের লক্ষ্যে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এর পরে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোন সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি। গত ১০ বছরে ৩৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকার ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খননের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটা ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল।


থ্রী এ্যাঙ্গেল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, নদী রক্ষা জোট এবং রিভার জাস্টিসের সহযোগিতায় নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’ ভাসমান সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি সুমন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নদী বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ইসহাক খান, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক মিহির বিশ্বাস এবং রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাধীনতা-বিরোধী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ