পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি দক্ষিণ এশিয়ায় মিডিয়ার স্বাধীনতাকে ভয়াবহভাবে খর্ব করেছে। ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের ‘কোভিড-১৯ প্রেস ফ্রিডম ট্র্যাকার’ অনুযায়ী, মহামারির সঙ্গে স¤প্রর্কিত প্রায় ২’শ নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে। এর মধ্যে ১০৭টি ঘটনা ঘটে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে। ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) সূত্রে এই খবর দিয়েছে অনলাইন আইফেক্স।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশগুলো মিডিয়াকে ঠেলে দিয়েছে ‘আনচার্টেড টেরিটোরিতে’। সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সরকারি ভাষ্য নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের অপর্যাপ্ত পদক্ষেপকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সরকারগুলো সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। মহামারি নিয়ে তথ্য নিয়ন্ত্রণ এবং জনবিতর্ক নিয়ন্ত্রণ করতে কর্তৃপক্ষ মিডিয়ার ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) বলেছে, অনেক স্থানে জরুরি বিধিবিধান চালু করা হয়েছে। আবার অনেক স্থানে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুয়া খবর সম্পর্কিত বিদ্যমান আইনকে ব্যবহার করা হয়েছে স্বাধীন মিডিয়ার গলা টিপে ধরতে। বেশ কিছু দেশে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে যেতে দেয়া হয়নি। সরকারি তথ্য ছিল মারাত্মকভাবে সীমিত। আইন করে অনেক দেশে সরকার প্রদত্ত তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছে মিডিয়াকে।
আইপিআই তার কোভিড-১৯ প্রেস ফ্রিডম ট্র্যাকারে বলেছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে যে ২০০ নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১০৭টিই দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশে। দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল। এ সময়ে এসব দেশে করোনা মহামারি ও তার পরিণাত নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে গ্রেপ্তার ও অভিযুক্ত হয়েছেন ৭১ জন সাংবাদিক। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকারের ঘটনা ঘটেছে ৩২টি। এধরনের লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ভারতে ৮৪টি। নিয়ম লঙ্ঘনের দিক দিয়ে এ অঞ্চলে ভারত শীর্ষে। বিভিন্ন আইনের অধীনে ৫৬ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৩ জন সাংবাদিক।
আইপিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক বারবারা ট্রিওনফি বলেছেন, ২০২০ সালে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নেপালে নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় আক্রমণ পর্যবেক্ষণ করেছে আইপিআই। এ অঞ্চলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করা হতে পারে একটি মূল লক্ষ্য ও কৌশল। অন্যথায় এ অঞ্চলে গণতন্ত্রের প্রভূত ক্ষতি হবে। আইপিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মহামারি নিয়ে ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে সাংবাদিকদের টার্গেট করেছেন কর্মকর্তারা। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ এবং রিপোর্ট করার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় রাজনীতিকরা। এ সব ঘটনায় পুলিশি অ্যাকশনের নিন্দা জানিয়েছে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। তারা সংবাদ মাধ্যমকে হয়রান করতে আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। গুজরাটি ভাষার নিউজ পোর্টাল ‘ফেস অব নেশন’-এর মালিক ও সম্পাদক ধবল প্যাটেলকে গ্রেপ্তারের পর এমন বিবৃতি দেয়া হয়। বাংলাদেশে সাংবাদিক ও একজন কার্টুনিস্টসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহামারিকালে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার।
এর মধ্যে মাত্র দু’জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অন্যরা অবস্থান করছেন বিদেশে। গ্রেপ্তারের সময় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ধারাবাহিক কার্টুন নিয়ে কাজ করছিলেন। এসব কার্টুনে তিনি স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করছিলেন। সজল ভুইয়া নামে আরেকজন সাংবাদিক ও তার সমর্থকদের অপদস্ত করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। মহামারিকালে চালের সঙ্কট নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।