পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গত ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রীর বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই দিন দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভাও অনুষ্ঠিত হবে। অর্থমন্ত্রী এ বোর্ড সভায় কিছু সময়ের জন্য উপস্থিতও থাকতে পারেন। এবারই প্রথম কোন অর্থমন্ত্রী বোর্ড সভার দিন বাংলাদেশ ব্যাংকে আসছেন। আর ওই দিন যদি অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থিত থাকেন তবে তা একটি বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে। সভা শেষে বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীচতলায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায়ও অর্থমন্ত্রীর যোগদানের কথা রয়েছে।
এদিকে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসছেন এমন খবর প্রচার হওয়ায় কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন বিভাগে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে কর্মকর্তাদের ইনসেনটিভ বোনাস (উৎসাহ ভাতা) আটকে যেতে পারে। রোববারের বোর্ড সভায় এ ইনসেনটিভ বোনাস পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বোর্ড সভায় উপস্থিত থাকবেন কি না-সেটি নিশ্চিত নয়। তবে ওই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হ্যাকিং-এর মাধ্যমে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ লেনদেনকারী হিসাব থেকে ৭০টি ভুয়া পেমেন্ট ইনস্ট্রাকশন (পিআই)-এর মাধ্যমে ১ হাজার ৯২৬ মিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে স্থানান্তরের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১টি পিআই-এর বিপরীতে শ্রীলংকায় ২০ মিলিয়ন ডলার এবং ৪টি পিআই’র বিপরীতে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকের চারজন গ্রাহকের হিসাবে পাঠানো হয়। রিজার্ভ চুরির এ ঘটনার জেরে গত ১৫ মার্চ গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ড. আতিউর রহমান। নতুন গভর্নর হিসেবে সাবেক সচিব ও সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলে কবিরকে নিয়োগ দেওয়া হলেও বরখাস্ত করা হয় দুই ডেপুটি গভর্নরকে। এরপর থেকেই ওই দুই ডেপুটি গভর্নরের পদ খালি পড়ে রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে দুই ডেপুটি গভর্নরের পদ খালি পড়ে থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শীর্ষ পর্যায় থেকে নতুন কাজের নির্দেশনা আসছে দেরি করে। পাশাপাশি রিজার্ভ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।