Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিগো-টিকটক লাইকি বন্ধে রিট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিগো লাইভ, টিকটক, লাইকি মোবাইল অ্যাপস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট মো. জেআর খান রবিন যুব সমাজ ও তরুণদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার্থে জনস্বার্থে রিটটি ফাইল করেন। রিটে উল্লেখিত অ্যাপস বন্ধ কিংবা নিষিদ্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন বিআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অ্যাপসগুলো কেন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল নিশি চাওয়া হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইজি পুলিশকে বিবাদী করা হয়।
রিটে বলা হয়, এসব অ্যাপ তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করছে। নষ্ট হচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তারা। হয়ে উঠছেন সহিংস। তরুণ সমাজ এসব অ্যাপের মাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চান এবং নিজেকে জনপ্রিয় ভাবতে শুরু করে। বিগো-লাইভ অ্যাপের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে এবং যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়।
এতে বলা হয়, প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক তরুণ। এ অ্যাপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার অনুসারীদের সঙ্গে লাইভমুহূর্ত শেয়ার করেন। এই অ্যাপের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ তা নিষিদ্ধ করেছে। টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে অনেক কিশোর-তরুণ উদ্ভট রঙে চুল রাঙিয়ে এবং ভিনদেশী অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করছেন, যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। স্বল্পবসনা তরুণীরা টিকটকের অশ্লীল ভিডিওতে নাচ, গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিত্তিও আপলোড করেছেন। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এসব ভিডিওতে কোনো শিক্ষণীয় বার্তা নেই। উল্টো এসব ভিডিওর মাধ্যমে তরুণ পজন্মের কাছে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে। বিব্রতকর, অনৈতিক ও অশ্লীল ভিডিও যা পর্নোগ্রাফিকে উৎসাহিত করায় ইতোমধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ায় এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অ্যাপগুলোর মধ্যে এক ধরনের ‘শো-অফ’ বিষয় থাকে। এই শর্ট ভিডিও ক্রিয়েশন এবং শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে গিয়ে তরুণ প্রজন্ম অশ্লীল ভিডিও ছড়াচ্ছেন। এসব কাজে সম্পৃক্ত হয়ে একদিকে যেমন তরুণ সমাজ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের পড়ালেখাও চরম হুমকির মুখে পড়ছে। এর আগে ৮ অক্টোবর এ বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অ্যাডভোকেট রবিন গত ৮ অক্টোবর সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিগো লাইভ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ