Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ দুয়ারে

প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৩ পিএম, ২৪ আগস্ট, ২০১৬

আহমদ আতিক : সম্পর্ক জোরদারের বার্তা নিয়ে ঝটিকা সফরে প্রথমবারের মতো ঢাকা আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রস্তাব নিয়ে অক্টোবরে আসছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর দোদুল্যমান সম্পর্কের মাঝেই আসছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ আহমেদ চৌধুরী। সরকারের পক্ষ থেকে এসব সফরের বিষয়ে সব রকম প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সোনাদিয়া বন্দর নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয় দেশই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিষয়ের পাশাপাশি গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলোতে বেশি আগ্রহী। অপরদিকে বাংলাদেশে রয়েছে চীনের বাণিজ্যিক ও সামরিক স্বার্থ। তাই দেশটি বিশাল আকারের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। আর পাকিস্তান চাচ্ছে বাংলাদেশের সাথে তিক্ততা কাটিয়ে সম্পর্কের স্থিতাবস্থা। সামনে এগিয়ে যাবার সুযোগ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে এখন অবারিত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুযোগ এসে হাজির। সেইসাথে রয়েছে সামরিক সামর্থ্য বৃদ্ধিরও সুযোগ।
জন কেরির বাংলাদেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, হ্যাঁ। তিনি আসছেন ২৯ আগস্ট। অনেক দিন ধরে তার আসার কথা ছিল। আমরা আনন্দিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জন কেরির এই সফরে সম্পর্কের সব দিক নিয়ে, বিশেষ করে বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হবে। জন কেরির ঢাকা সফরের বিষয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এ মুহূর্তে এই সফরের বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে।
খসড়া সফরসূচি অনুযায়ী, জন কেরি ২৯ আগস্ট সকালে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিমানে জেনেভা থেকে ঢাকায় আসবেন। সন্ধ্যা অবধি বাংলাদেশে থাকবেন। এরপর দিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন। সেখানে পরদিন ৩০ আগস্ট ‘ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল ডায়ালগ’-এ মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন জন কেরি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনও এ উপলক্ষে ২৭ আগস্ট ওয়াশিংটন থেকে ঢাকা এসে পৌঁছাবেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জন কেরির সম্ভাব্য সফরসূচির বিষয়টি গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন জন কেরি। এ ছাড়া পেশাজীবী, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তার মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। জন কেরির সফরের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এ মাসে চারবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জন কেরির এটি প্রথম ঢাকা সফর হলেও গত পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এটি দ্বিতীয় ঢাকা সফর। ২০১২ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। হিলারি বাংলাদেশ সফর শেষে ভারতে গিয়েছিলেন।
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গতকাল বুধবার পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সাক্ষাতে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে আগ্রহী। সেইসাথে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগে আগ্রহী।
দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, জন কেরি এমন এক সময়ে ঢাকায় আসছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে আর বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী হামলা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশ ও জোটের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে ওবামা প্রশাসন। এতে কেরির ঢাকা সফরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
তা ছাড়া গুলশানে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশের উদ্বেগের পরও তার এই সফরের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর বলেন, কোনো দেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ওই দেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ও গুরুত্ব তুলে ধরে। সেই প্রেক্ষাপট থেকে জন কেরির আসন্ন ঢাকা সফরটির যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুলশানের জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও জন কেরির ঢাকায় আসার মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে যে এ দেশের ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের যথেষ্ট আগ্রহ আছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সফরে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। তবে গণতন্ত্র, সুশাসন, উন্নয়ন, বাণিজ্য, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলে মনে করি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সময় জন কেরির বাংলাদেশ সফরটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সমসাময়িক প্রসঙ্গ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই গুলশানে জঙ্গি হামলাসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন। এ ছাড়া নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের অন্য বিষয়গুলো তিনি জানতে ও বুঝতে চাইবেন। আর ঢাকা থেকে দিল্লি গিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের মূল্যায়ন বোঝার চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন সফরের সময় জন কেরিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান মাহমুদ আলী। ওই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা সফরের ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কথা দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অবশ্য এর আগে ২০১৩ সালের ২৫ জুনও জন কেরির ঢাকা সফরসূচি নির্ধারিত থাকলেও তা পরে বাতিল হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র এবং এ বিষয়ে গত এক মাসে কয়েকটি মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করেছে। সূত্র আরো জানায়, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আগের থেকে অনেক বেশি পরিপক্ব। গত ছয় বছরে মোটা দাগে দুই দেশের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় ছিল গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার। কিন্তু এর আড়ালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে দুই দেশের সম্পর্কও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে।
এ ছাড়া গত পাঁচ বছর ধরে প্রতি বছরই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে অংশীদারিত্ব সংলাপ চলে আসছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ে নিরাপত্তা সংলাপ এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে মিলিটারি-মিলিটারি সংলাপও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনার জন্য টিকফা ফোরাম ব্যবহার করা হচ্ছে যার তৃতীয় বৈঠক এ বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশের সাথে নেই বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ড. ইউনূস ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকায় নাখোশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ‘আকসা’ বা ‘অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসেস অ্যাগ্রিমেন্ট’ চুক্তি করতে চায়। এ চুক্তিটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি চুক্তি। প্রস্তাবিত এ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ‘গাইডেড মিসাইল’সহ বেশ কয়েক ধরনের আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করবে। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর জ্বালানি সংগ্রহ, যাত্রাবিরতি, সাময়িক অবস্থানসহ এ ধরনের বিভিন্ন সুবিধার জন্য বাংলাদেশে ‘পোর্ট অব কল’ সুবিধা পাবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বাংলাদেশে উপস্থিতিরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইনে ২০১৪ সালে প্রকাশিত একটি সংবাদে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে একটি ঘাঁটি গাড়তে চাইছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লিওন প্যানেট্টা ‘সংগ্রিলা ডায়লগ’-এ (সিঙ্গাপুর, জুন ২০১২) স্পষ্ট করছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রণতরীর সংখ্যা বাড়াবে। ২০১৩ সালের শেষের দিকে এই রণতরীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬-এ। খুব স্বাভাবিক কারণেই এতে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরীর যাতায়াত বাড়বে। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ‘পোর্ট অব কল’ সুবিধা নেবে। এ জন্যই তারা চাচ্ছে ‘আকসা’ চুক্তিটি।
সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এক দিনের এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর এবং পরস্পরের প্রতি আরও বিশ্বাস বাড়ানোর প্রয়াস থাকবে তার এ সফরে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির এই সফরকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির এই বাংলাদেশ সফরকে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সফলতা হিসাবেই দেখছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র।
বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বেড়েছে নানা কারণে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের নৌবাহিনীর প্রভাব বৃদ্ধি, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে আঘাত করতে পারে। সে কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে একটি অ্যালায়েন্স গড়ে তুলতে চাচ্ছে দেশটি। এ অঞ্চলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বিপুল জ্বালানি সম্পদ রয়েছে গভীর সমুদ্রে। মার্কিনি আইওসির এ ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে যথেষ্ট। বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের জন্য এ কারণেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে অবস্থান করে খুব সহজেই মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যায় এবং বাংলাদেশের নিকট-প্রতিবেশী চীনের রাজনৈতিক উত্থানপতনে প্রভাব খাটানো সম্ভব। ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে চীন যে বিশাল প্রতিরক্ষা গড়ে তুলছে, তা মূলত তার জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখেই করা হয়েছে। চীনের এই জাতীয় স্বার্থকে আঘাত করা ও চীনের নৌবাহিনীর ভূমিকাকে খর্ব করার উদ্দেশ্য নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সঙ্গে নিয়ে এই অঞ্চলে একটি মোর্চা গড়ে তুলছে, যাতে বাংলাদেশকে অন্যতম একটি পার্টনার হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে আর্থিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়বে
অন্যদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও আগামী ১০ অক্টোবর তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা-বেজিং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়বে। চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের আগেই শরিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাত দিনের সফরে চীন গেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ১০-১২ অক্টোবর তিন দিনের সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট ঢাকায় আসছেন। চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকালে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, সামরিক সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। এসব বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় হাফ ডজন চুক্তি করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফরকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশে সফরে এসে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে পারেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের সহযোগিতায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে দুই দেশের সঙ্গে একটি চুক্তিও হয়েছে। এই টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ হাজার ৪০০ মিটার। চলতি বছর শুরু হয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে টানেল নির্মাণকাজ শেষ হবে। টানেল নির্মাণে খরচ পড়বে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন দেবে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ হাজার ৪০০ মিটার। এছাড়া টানেলের পশ্চিম পাশে ৭৪০ মিটার এবং পূর্ব পাশে ৪৫২ মিটার দৈর্ঘ্যরে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ সফরকালে চট্টগ্রামে চীনা প্রেসিডেন্টের টানেল উদ্বোধনের বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে চীনের উদ্যোগে বাংলাদেশে একটি বিনিয়োগ পার্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিনিয়োগ পার্ক নির্মাণের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সাতটি বড় বড় সেতু নির্মাণ করে দিয়েছে। প্রেসিডেন্টের আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে আরও চারটি বৃহৎ গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হতে পারে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চীন দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ ব্যক্ত করে আসছে। এ ইস্যুতে বাংলাদেশ এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অবশ্য চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃতীয় কোনো দেশকে যুক্ত করা হলেও গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আগ্রহী দেশটি। চীনের প্রেসিডেন্টের আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে গভীর সমুদ্রবন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে থাকছে।
চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ১৪তম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) সভা গত ২২ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ৪ জুন চীনের কুনমিং শহরে ১৩তম জেইসি সভা হয়েছিল। সভায় চীনের কাছে কোটা ও শুল্কমুক্ত বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশের দাবি জানায় বাংলাদেশ। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি, বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি, চীন থেকে বাংলাদেশে আমদানি, চীন থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ, চীনা অর্থায়নে প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ দরপত্র প্রক্রিয়া এবং বায়ার্স ক্রেডিটসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চীনা প্রেসিডেন্টের সফরকালে নিñিদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং ছিয়াং চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে চারশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে দেশটি। সেখানে দুই থেকে আড়াই লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বাংলাদেশীদের জন্য চীনা ভিসা সহজ করা হবে এবং বাংলাদেশ আগ্রহী হলে বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চায় চীন। বাংলাদেশে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে অংশ নিতে আগ্রহী চীন। ইতোমধ্যে চীন মিয়ানমারে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রয়েছে চীনের বাণিজ্যিক ও সামরিক স্বার্থ। বাংলাদেশ বছরে বিদেশ থেকে যে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি করে থাকে তার সিংহভাগই আসে চীন থেকে। দুই দেশের বাণিজ্য বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার হলেও তার প্রায় সবই আমদানি। চীন থেকে বাংলাদেশ সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে থাকে। সাম্প্রতিক বছরে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে কিছু সামরিক সরঞ্জাম আমদানি রাশিয়া থেকে হলেও চীনই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের শীর্ষ দেশ। নৌবাহিনীর জন্য আগামীতে সাবমেরিন আসবে চীন থেকে।
চীনা প্রেসিডেন্টের আসন্ন এই সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রায় এক ডজন চুক্তি এবং বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়নসহ এ সফরে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশা করা হচ্ছে। অর্থনীতি ও অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সফরে বড় কিছু অর্জনের আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিভাগগুলো চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকালে যেসব কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হবে তার তালিকা প্রস্তুতের কাজ করছে।
প্রেসিডেন্টের সফরকালে ‘বাংলাদেশ, চায়না, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার ইকোনমিক করিডোর’ (বিসিআইএমইসি) নিয়ে আলোচনা হবে। চীনের প্রতিষ্ঠিত ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক’ (এআইআইবি) থেকে বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যেই একটি ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি এখন পর্যন্ত চারটি ঋণ মঞ্জুর করেছে। তার একটি মঞ্জুর করা হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এটি এডিবি কিংবা বিশ্বব্যাংকের মতো ঋণদানের একটি ব্যাংক, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বেশি ঋণ দেবে। চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে এই ব্যাংক থেকে আরও ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রেসিডেন্টের আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে চীনের ‘এক অঞ্চল এক পথ’ উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন চাওয়া হতে পারে। চীন প্রকৃতপক্ষে পুরনো সিল্ক রুট পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে। পাশাপাশি, সামুদ্রিক রেশম (সিল্ক) রুটেরও পুনরুজ্জীবন চাইছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আসন্ন বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস’ (বিস) চেয়ারম্যান ও চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই সফর নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতায় চীনের কোনো তুলনা হয় না। চীন এখন ভারত ও যুক্তরাজ্যে পর্যন্ত অবকাঠামো সহযোগিতা দিচ্ছে। ফলে প্রেসিডেন্টের আসন্ন বাংলাদেশ সফর বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়নসহ কারিগরি সহায়তার জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।
ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অচলাবস্থা নিরসনে ৩১ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বা পররাষ্ট্র দফতরবিষয়ক আলোচনায় বসছেন পররাষ্ট্র সচিবদ্বয়। এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে আস্থার অভাব নিরসন করতে আসন্ন বৈঠককে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, নভেম্বরে সার্ক সম্মেলনকে সামনে রেখে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার চেষ্টা উভয় পক্ষের রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘বরফ গলা’ নিয়ে সংশয় থাকলেও এ বৈঠকের মাধ্যমে দু’পক্ষের মধ্যে একটা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করা হতে পারে। জানা গেছে, কানেকটিভিটি ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিতে পারে পাকিস্তান। করাচি বন্দর ব্যবহার করে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ যাতে বাণিজ্য করতে পারে সেই সুবিধা দিতে চায় পাকিস্তান।
তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে অবিশ্বাস দূর করতে উভয় পক্ষ এ মুহূর্তে তৎপর রয়েছে। ফলে উভয়েই স্পর্শকাতর ইস্যুতে যতটা সম্ভব কম আলোকপাত করার কৌশল নিয়েছে। এটা হলো সার্ক সম্মেলন উপলক্ষে শেখ হাসিনার পাকিস্তান সফরের পূর্বে ভঙ্গুর সম্পর্কের খানিকটা মেরামত করার চেষ্টা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুই দেশের মধ্যকার চলমান শীতল ও টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র সচিবদের ঢাকা বৈঠকের তারিখ ইতোমধ্যে চারবার পেছানো হয়। মন্ত্রী পর্যায়ের কোনো সফরও হয়নি দুই দেশের মধ্যে। বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তথা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের আলোচিত মন্তব্য ও হস্তক্ষেপই শীতল সম্পর্কের মূল কারণ। ৪৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা সম্পদের হিসাব, একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়া ইস্যু বাংলাদেশ প্রাধান্য দিয়ে আসছে। এ ছাড়া সন্ত্রাস দমন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়েও আলোচনা হবে। আগামী নভেম্বরে পকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধীর বিচার ইস্যুতে উত্তাপ না থামতেই বেলুচিস্থান নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর একটি মন্তব্যকে ঘিরে পাকিস্তান ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তথ্যমন্ত্রীর এ মন্তব্যের পরপরই গত শুক্রবার ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে পাকিস্তান। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। ফলে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ কোনো অবস্থান নেবে না।
সূত্র জানায়, উভয় দেশই এ ইস্যুতে আর কোনো উচ্চবাচ্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ইস্যুটি নিয়ে আরও পানি ঘোলা হলে তাতে দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আসন্ন বৈঠকে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।



 

Show all comments
  • Jual ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ২:০৬ পিএম says : 0
    It is a very good news for us
    Total Reply(0) Reply
  • আশিক ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ২:১৪ পিএম says : 0
    কোন দেশে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ দুয়ারে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ