পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়া মিরপুর বাজার থেকে চাঁদাবাজি অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার দুই অফিসারকে ব্যবসায়ীরা ধরে পুলিশে দেয়। মিরপুর বাজারের এম আর হার্ডওয়ারের মালিক এমিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ দুই জন লোক এসে বলে আপনি মিথাইল স্প্রিড আছে কি না? আমি বলি আছে। তখন তিনি মিথাইল স্প্রিড বিক্রয়ের অনুমতি আছে কি না বললে আমি বলি কুষ্টিয়া বড় বাজার থেকে অল্প অল্প কিনে বিক্রয় করি। এজন্য কোন অনুমতি নেই নি। তিনি তখন আমার কাছে কিছু টাকা চাই। আমি ঝামেলা এড়াতে তাকে ১ হাজার টাকা দিয়েছি। পরে শুনি এরা আরো অনেক দোকান থেকে টাকা নিয়েছেন। এতে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাদের বিষয়ে বাজারের সাধারণ সম্পাদকে জানায়। তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তাদের নিয়ে গেছে।
এছাড়াও আমজাদ হার্ডওয়ার থেকেও টাকা নিয়েছেন। আরো এক দোকান থেকে ১০ লিটার মিথাইল স্প্রিড তুলে নিয়ে এসেছে। তিনি আরো জানান, আমি গতকাল বনিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর বাজার থেকে বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজির সময় জনতা ভুয়া অফিসার ভেবে একটি দোকানে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মিরপুর থানার এসআই প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, আমরা দেখেছি বেশকিছু সন্ত্রাসী পুলিশ ক্রাইম করেছে। এবিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে আমরা মাইক্রিং করেছি। তিনি বলেন, আমি খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি দুই জনকে ঘিরে রেখেছে জনতা। তাদের অভিযোগ এই দুই জন বিভিন্ন হার্ডওয়ারের দোকান থেকে লাইসেন্সের কথা বলে উৎকোচ নেই। এতে ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হয় তারা ভুয়া কর্মকর্তা। পরে আমরা ওই দুই কর্মকর্তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপ পরিদর্শক সরোয়ার ও সহকারী উপ পরিদর্শক সৌরভ। তবে কোন ব্যবসায়ী এবিষয়ে থানাতে অভিযোগ দেয়নি। পরে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে কুষ্টিয়াতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শহিদুল মান্নাফ কবীর এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুই অফিসারের বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনেছি। ব্যবসায়ীরা লিখিত অভিযোগ করবেন বলে শুনেছি। অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।