ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মোহাম্মদ আবু নোমান : বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ধনাঢ্য পরিবারের উচ্চশিক্ষত যুবকদের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা। গুলশানে হামলার পর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপ তো দূরের কথা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোরও ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ভিসা নিয়ে এসব দেশের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে আসার ঘটনা বেড়েছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে ইমিগ্রেশনে এমন আচরণ করা হয়, যেন বাংলাদেশিরা হয় সন্ত্রাসী, নয় চোরবাটপার। অথচ বিদেশে গিয়ে অনেক মেধাবী বাঙালি বড় বড় গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়ে, তাদের নবনব আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। আমরা সেসব মেধাবীকে দেশে সুযোগ দিতে পারছি না। এ জন্য তরুণদের চাহিদা মাফিক উন্নয়ন কৌশল, পরিকল্পনা ও নীতিমালা জরুরি। এমন একটি জাতি আমাদের প্রত্যাশা, যার যুব সম্প্রদায় বেকারত্ব, মাদক, পর্নোগ্রাফি, অস্ত্রবাজি থেকে মুক্ত থাকবে। সেই সাথে উৎপাদনমুখী বাস্তব শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নেতৃত্বসহ সম্ভাবনাময় সকল গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত হয়ে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে। জঙ্গিবাদের কারণে ইউরোপ, আমেরিকা তথা জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত দেশগুলোর দরজা ছোট হতে থাকলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যুবসমাজ যে কোন দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুবসমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপরই অনেকাংশ নির্ভরশীল। দেখা যায়, যে কারো শারীরিক অসুস্থতাকে যতটা গুরুত্ব দেয়া হয় মানসিক অসুস্থতাকে ততটা দেয়া হয় না। এক গবেষণায় এসেছে, বাংলাদেশের ১৬.১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব) কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। বেকারত্ব, ব্যক্তিত্বের সংঘাত, বন্ধুত্বে দ্বন্দ্ব, হতাশা, রাগ, ক্রোধ, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদি কারণে তরুণ প্রজন্ম মানসিক অসুস্থ হয়ে একসময় অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে। আবার এক শ্রেণীর যুবককে কৌশলে ধর্মের অপব্যাখ্যায় বিপথগামী করা হচ্ছে। এসব কর্মকা- সংঘটিত হচ্ছে রাজনৈতিক এবং গোষ্ঠী বা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের তাগিদেই। আবার, দেশের এক শ্রেণীর যুবক-যুবতী চলনে-বলনে পাশ্চাত্যের অনুকরণসহ নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকছে। ধর্ম, সমাজ, দেশ-জাতি বা পরিবারের চেতনা ‘ব্যাকডেটেড’ চিন্তা বলে মনে করতে অভ্যস্ত তারা।
প্রতিটি পিতা-মাতাকে মনে রাখতে হবে, আচার-আচরণ, সুনৈতিকতা, সংস্কৃতি শেখার প্রথম জায়গা হলো পরিবার। তারপর বিদ্যালয় ও সমাজ। আমরা সব চাপ দেই শিক্ষকদের। নিজেদের দায়িত্ব ও ভূমিকার গুরুত্ব নিয়ে কেউ ভাবি না। এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। পরিবারে অভিভাবক আছে। সমাজে বড়রা আছে। এদের সবাইকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। সন্তানের মানুষ হওয়ার কাজটি শিক্ষকের দায়িত্বে অর্পণ করলে চলবে না। একটু বড় হলে তাকে ল্যাপটপ, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ধরিয়ে দিয়ে মা-বাবা নিশ্চিন্ত হতে চান। সন্তানের এই শ্রেষ্ঠ সময়ে আমরা তাদের সঠিক পথ দেখাতে পারিনি বলেই তাদের কেউ সহিংস রাজনৈতিক দলে, কেউ জঙ্গিবাদে দীক্ষা নিচ্ছে। এ জন্য এই অমিত সম্ভাবনাময় তরুণদের দায়ী করা যায় না। দায়ী হলো আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্ব। মাদক ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং পারিবারিক অনুশাসন ও মানসম্মত শিক্ষার অভাবের কারণে তরুণরা অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়ায়।
কৈশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্কের পর নিজের ও পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার ক্রান্তিকালে অস্থির মানসিকতার ঝুঁকিটা অনেক প্রকটভাবে দেখা যায়। অকর্মন্য, অভাব, অবহেলা, অবসাদ, বেকারত্ব থেকে অপমান ও লজ্জাবোধ প্রায়ই এই সমস্যাকে জটিল করে দেয় যা থেকে উত্তোরণের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রাপ্তি থেকেও যুবকরা বঞ্চিত থাকে। বিশ্বের তরুণ সমাজের অর্ধেকেরও বেশি কর্মহীনতার কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বাংলাদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। চিকিৎসা ব্যবস্থার সাফল্যের সুফলে আমাদের অনাকাক্সিক্ষত জন্ম ও মৃত্যুর হার কম। কারণে আমরা এখন জনসংখ্যা মুনাফার সুযোগ পাচ্ছি। কোনো দেশের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ও উৎপাদনমুখী অংশ এই যুবশ্রেণী দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে।
শ্রমশক্তির জোগান ও সংখ্যার বিবেচনায়ও আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য যুবসমাজের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং দেশের সম্ভাবনাময়, আত্মপ্রত্যয়ী, সৃজনশীল ও উৎপাদনক্ষম এ অংশকে জাতীয় উন্নয়নের মূল ধারায় অবদান রাখার জন্য তাদের মাঝে গঠনমূলক মানসিকতা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকা-ে নিয়োজিত করার অনুকূল ক্ষেত্র তৈরির উদ্দেশ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি বছর ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে ঢুকছে। বিভিন্ন কারণে যুবসমাজের ৩০ শতাংশের বেশি দেশের অর্থনীতিতে কোনো অবদান রাখতে পারছে না। আমাদের ভালো নীতি আছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে নীতির প্রয়োগ ও সম্পদের শুধু বরাদ্দ নয় বরং সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।
তরুণদের আরও বেশি সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশের রাজনীতি মানুষের জন্য, দেশের জন্য হয় না। রাজনীতি হয় দলের জন্য, বলা হয় ‘দলকানা রাজনীতি’। ছাত্রসমাজ বা তরুণ সমাজকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো খুব বেশি আগ্রহ দেখায় ভোটের সময়। কারণ দলগুলো জানে, এ বৃহৎ অংশের ভোট অর্জন করতে পারলেই জয় সুনিশ্চিত। তরুণদের অবশ্যই মানুষের জন্য রাজনীতি করতে হবে। তাদের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে একটি জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিম-ল।
বলা হয়ে থাকে, ইতিহাস লেখে বয়স্করা, তৈরি করে তরুণরা। সেই হিসেবে বাংলাদেশের তরুণদেরও রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। তরুণ ও ছাত্র সমাজ বারবার স্বৈরাচারী ক্ষমতার ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে তরুণ ও যুবসমাজ। যুবসমাজ আত্মবিশ্বাসী, বলবান, সৃজনশীল ও উৎপাদনশীল শক্তি। তারা চঞ্চল কিন্তু বেগবান। সেভাবেই তরুণদের গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে। রানা প্লাজা ধ্বংসের সময় তরুণেরা সবার আগে এগিয়ে এসেছে। সমস্ত বাহিনীর প্রচেষ্টা ব্যর্থ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজ স্থগিত ঘোষণার পর রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির পানির পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী যুবকরা শিশু জিহাদকে উঠাতে সক্ষম হয়েছে। এসব উদ্যমী যুবকের দায়িত্বশীলতা, আত্মবিশ্বাস এবং অন্যান্য মানবিক গুণাবলী অর্জনে উৎসাহ প্রদানের জন্য কর্মসূচী গ্রহণ জরুরি।
তরুণদের সৃজনশীল বা দেশমাতৃকার কল্যাণে নিবেদিতের যেমন উদাহরণ রয়েছে তেমনি ঐশীর মতো ভুল পথে যাওয়া তরুণীর অপকীর্তির কথাও আমরা জানি। ধনী ঘরের সন্তানেরা যখন মাদক ব্যবসা বা গাড়ি চোরাচালান চক্রের সাথে যুক্ত হয়, প্রথম কাতারের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যখন জঙ্গিবাদ ও খুনের সাথে জড়িত হয় তখন সত্যিই উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। যুবসমাজকে বুঝতে হবে পথ দুটোই আছে- অন্ধকার ও আলো। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা ও আদর্শের জায়গা কতটুকু আছে, এমন প্রশ্ন অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে। কারও আদর্শিক জায়গা ঠিক না থাকলে সে প্রযুক্তিসহ সবকিছুর অপব্যবহার করবে। তরুণদের অনেক শক্তি আছে। তাদের শক্তি ঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, এ ব্যাপারে প্রশ্ন থাকতেই পারে। মোবাইলে রাত ১২টার পর কম পয়সায় কথা বলার সুযোগ দিয়ে কী মহাকল্যাণ হচ্ছে? তাদের আসলে ভীষণভাবে ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। ফেসবুকের ভালোবাসা ও নেশায় পড়ে যুবক-যুবতীরা টেক্সবুককে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
যুবসমাজের কর্মসংস্থানের জন্য উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করলে তারা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। যুবসমাজের উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি অবদান রাখতে পারে। আজ যুবসমাজকে একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। তা না হলে এক যুবক বোমা মারবে, অন্য যুবক বোমায় মৃত্যুবরণ করবে। বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিভিন্ন গবেষণা, সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ অনেক কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত করে জাতীয় উন্নয়ন অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে এমন কিছু হচ্ছে না।
প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিকগুলোতে যেন তরুণরা প্রভাবিত না হয় সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। প্রযুক্তিকে গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করে তরুণরা কীভাবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে সেটি ভাবতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা করতে পারে। দেশে এখন পাঁচ কোটির বেশি তরুণ রয়েছে। ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণ ধরলে শিশু-কিশোর তরুণের মোট সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তরুণদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যতের স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মিত হতে পারে। আদর্শ, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা এসব শেখানোর বয়স ১৮ নয়। প্রাথমিক স্কুল থেকেই এসব শেখাতে হবে। আমরা সনদভিত্তিক পড়া পড়ছি আর পড়ার সীমা ঠিক করেছি মাস্টার্স ডিগ্রি। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত মানুষের ইতিহাস কেবল মাস্টার্স ডিগ্রি নয়। তারা যে কোনো একটি জায়গা থেকে কর্মমুখী শিক্ষা শুরু করেছেন। জীবনে সফলও হয়েছেন। আমাদেরও কর্মমুখী শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তরুণদের সমস্যাকে বড় করে না দেখে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেটাতে গুরুত্ব দিতে হবে।
লেখাপড়া না করে প্রশিক্ষণ ও অন্যের কাছ থেকে শিখেও দক্ষতা অর্জন করা যায়। তাই আমাদের অদক্ষ তরুণদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে এসব যুবক নিজেদের বিকশিত করাসহ সমন্বিত ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান অবদান রাখতে পারে। মনে রাখতে হবে, দেশে ও বিদেশে কর্মরত তরুণ ও যুবকদের কষ্টার্জিত অর্থেই আমরা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে তরুণদের কাছ থেকে বেশি সক্রিয় অবদান চাইলে যুববান্ধব সমাজ গঠনের দিকে নজর দিতে হবে।
মেয়েদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। একটা মেয়ের সত্যিকার শিক্ষা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা থাকলে সে তার সন্তানকে প্রকৃত মানুষ করতে পারবেই। একটি ভারসাম্যপূূর্ণ পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থার জন্য ইসলামে নারীশিক্ষার গুরুত্ব প্রশ্নাতীত। অন্য কোনো ধর্মে নারীদের বিদ্যার্জনের ওপর এমন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ’। অন্যত্র এসেছে- ‘যার দুটি বা তিনটি কন্যা সন্তান আছে এবং তাদের উত্তম শিক্ষায় সুশিক্ষিত ও প্রতিপালিত করে সৎ পাত্রস্থ করবে, সে জান্নাতে আমার সহাবস্থান করবে’ [মুসলিম]।
সমাজের সবাই শিক্ষিত হবে না, এটা আমাদের মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। দেশের অসংগঠিত, কর্মপ্রত্যাশী যুবগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরে লক্ষ্যে সরকারের সাথে পাবলিক, প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।