পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেসরকারি কলেজ স্থাপন ও পরিচালন নীতিমালা প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় গত নভেম্বরে বন্ধ হয়েছে রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ। এতে কলেজটির বিভিন্ন বর্ষের ২০৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থী চরম বিপাকে পড়েছেন। তাই সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী দ্রুত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, শাহ মখদুম মেডিকেল ও অন্যান্য মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফুটবলের মতো খেলছে। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্য সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মাইগ্রেশনের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না মেডিকেল কলেজগুলো। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছে এসব মেডিকেল কলেজ। সুযোগ বুঝে শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের মালিকও সনদ আটকে মোটা অংকের টাকা চাইছেন। সেশনজটের আশঙ্কাসহ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এসব শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের দাবি হলো: নতুন মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া, শাহ-মখদুম মেডিকেল কলেজের ২০৭ জন শিক্ষার্থীর জমাকৃত মূল সনদপত্র ও একাডেমিক কাগজ বিনা শর্তে মাইগ্রেশনকৃত কলেজে পাঠানোর নির্দেশ, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি। একই সঙ্গে তাদের দারির সুস্পষ্ট জবাব না পেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি এবং আমরণ অনশনের কর্মসূচিও দিয়েছেন শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজের ২০৭ জন শিক্ষার্থীরা।
শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজের মাইগ্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধনে কর্মসূচির আহ্বায়ক মো. রিয়াজুল হাসান ও শাকিলা দিল আফরোজ জানান, বন্ধ ঘোষণা করা শাহ-মখদুম মেডিকেল কলেজের ২০৭ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন এখন অনিশ্চিত। চলতি বছরের ১৪ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রতিনিধি শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনের পর গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে অন্য সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের পর এখনও সেই চিঠি আলোর মুখ দেখেনি। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এসব নিয়ে বারবার ডিন অফিস, ডিজি অফিস, অধিদফতরে যোগাযোগ করলেও এর সদুত্তর মেলেনি। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।