Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘কাবিন বাণিজ্যের বলি ৮০ শতাংশ পুরুষ’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

সাজানো কাবিন ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএমআরএফ)। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসুচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। 

মানববন্ধনে বিএমআরএফ’র আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা জার্মান প্রবাসী প্রকৌশলী মাজহারুল মান্নান মিয়া বলেন, বর্তমানে কাবিন বাণিজ্যের বলি হচ্ছে শতকরা ৮০ শতাংশ বাঙালি পুরুষ। স্বদেশ কী বিদেশ সবখানে খারাপ পরিবার দ্বারা উচ্চ কাবিন করে বিয়ে দিয়ে এক সপ্তাহের মাথায় মেয়ে তার পরিবারের কথায় তালাক দিয়ে তার সাজানো কাবিন দাবি করে। এটি পরিকল্পনায় তার পরিবার আবার আরেক বড়লোক ছেলেকে টার্গেট করে কাবিন নেয়। এ ধরনের প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এখন এটি ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার এবং কাজিনের সাথে এমন হওয়াতে আমি নিজে দেখেছি তাই আমি অবিলম্বে এমন আইন করার দাবি জানালাম, যাতে কনে পক্ষ স্বেচ্ছায় তালাক দিলে কোনো কাবিন না দাবি করতে পারে। তাহলে অনেক পুরুষ বাঁচবে বলে আশা রাখি।
সভাপতিত্বের বক্তব্যে বিএমআরএফ’র চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম বলেন, কিছু নারী বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই তারা এমন একটি আইন করতে হবে, যেন কনে পক্ষে স্বেচ্ছায় তালাক দিলে কোনো কাবিন না দাবি করতে পারে অথবা স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের সমপরিমাণ টাকা স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই আইন কার্যকর করা হলে দুষ্ট নারীদের দেন মোহর ব্যবসা বন্ধ হবে। তিনি আরো বলেন, এক শ্রেণির ভয়ঙ্কর প্রকৃতির নারী বিভিন্ন ছলে বলে কৌশলে পুরুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মামলা মোকদ্দমা দিচ্ছে। ধন-সম্পদ ও জমি জমা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার একটি চক্র বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করার কথা বলে সহজ সরল বেকার পুরুষ যুবকদের বিদেশে নিয়ে দাসের মতো শারীরিক ও মানসিক, দৈহিক ও হয়রানি করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু নারী সন্ত্রাসী দিয়ে শান্তি প্রিয় পুরুষ ঘর-বাড়ি তথা এলাকা ছাড়া করছে। আত্মমর্যাদা ও সামাজিক এবং লোক লজ্জার কারণে অনেক সম্মানিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রকাশ্যে মুখও খুলছে না। আরেক প্রকৃতির নারী বিয়ের তথ্য গোপন করেন কুমারী সেজে পুরুষদের সাথে প্রতারণা করছে। তাই বহুবিবাহ প্রতারণা রোধে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ডিজিটাল করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সাহেল, সংগঠনের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা প্রকৌশলী মাজহারু মান্নান মিয়া, সদস্য মো. মহিউদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাবিন-বাণিজ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ