পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
# এ বিষয়ে আমরা অবগত নই : পুলিশ
ইনকিলাব ডেস্ক
যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতগুরু গোলাম আযমের ছেলে বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ‘ধরে নিয়ে গেছে’ বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। অবশ্য পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
আমান আযমীর ভাই সালমান আল আযামী মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য থেকে বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে কিছু লোক মগবাজারের বাসায় গিয়ে তার ভাইকে ধরে নিয়ে যায়। “বাসায় প্রবেশ করে আমার ভাইকে তারা বলে- ‘আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে’। তাদের সঙ্গে কোনো অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছিল না, কি কারণে আটক করা হচ্ছে- এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তরও তারা দেয়নি।” মগবাজারের ওই বাসার কর্মচারী জাহেদ আলী বলেন, “তারা সাদা পোশাকে এসেছিল। স্যারকে নিয়ে গেছে।”
গোলাম আযমের স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আযমের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়ির অষ্টম তলায় থাকেন। আর আমান আযমী ওই বাড়ির সপ্তম তলায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন। রাতে ঘটনার সময় তিনি পঞ্চম তলায় ছিলেন বলে জানান আজাদ।
তার দাবি, ১৮ থেকে ২০টি গাড়িতে আসা ‘আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর লোকজন’ ডিবি পরিচয় দিয়ে ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাট তল্লাশি করে এবং আমান আযমীকে ‘ধরে নিয়ে’ যাওয়ার সময় বাড়ির কয়েকটি সিসি ক্যামেরার সরঞ্জাম নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনো অবগত নই। অনেকেই প্রশ্ন করছেন... তবে এখনো আমরা কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।”
‘ধরে নিয়ে যাওয়ার’ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সালমান আযমী বলেন, “এখনো পারিবারিকভাবে আমরা জিডি করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ভাইদের মধ্যে উনিই একমাত্র দেশে ছিলেন। থানা-পুলিশ করার মত লোক নেই। আর জিডি করতে গেলে পুলিশ সহযোগিতা করবে কি না- তা নিয়েও সন্দেহ আছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।