পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সতর্কতার মধ্যেও ধীরে ধীরে চাঙা হয়ে উঠছে বগুড়ার পর্যটন খাত। বগুড়ায় মূলত মৌর্য, গুপ্ত, সুঙ্গ ও পাল এবং সেন রাজাদের স্মৃতি বিজড়িত পুন্ড্র নগরী ও মাহী সওয়ার খ্যাত হযরত শাহ সুলতান বলখী ইবনে আদহাম (রহ.) এর মাজার কেন্দ্রিক মহাস্থান গড়, মহাস্থান যাদুঘর, গোকুলের মেধ তথা বেহুলা লক্ষিন্দরের কথিত বাসর ঘর, শিবগঞ্জের ভাসু বিহার, শেরপুরের শাল বাগান ও খেরুয়া মসজিদ, পশ্চিম বগুড়ার পাঁচপীরের দরগা ও আদমদীঘির রক্তদহের বিল ইত্যাদি পর্যটনের আকর্ষণীয় স্পট।
এর পাশাপাশি পূর্ব বগুড়ার যমুনা ও বাঙালী নদী বিধৌত সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলা কেন্দ্রিক যমুনা নদীর পশ্চিম তীর রক্ষা বাঁধের গ্রোয়েন, স্পার, ফিসপাস গেইটসমূহের অবকাঠামো কেন্দ্রিক স্পটগুলোও এখন পর্যটনের আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে বিনোদনপ্রিয় মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে সারাদেশ তথা দেশের বাইরের পর্যটকদের কাছে পুন্ড্র তথা প্রাচীন ধ্বংস স্তুপের মধ্যে মহাস্থান গড়ের আকর্ষণই সীমাহীন। বৌদ্ধ বংশীয় পাল রাজাদের স্মৃতি বিজড়িত থাকায় শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রানাসিঙ্গে প্রেমাদাসা তার মৃত্যুর কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে তার সরকারি সফরের অংশ হিসেবে মহাস্থান গড় পরিদর্শন করে যান। প্রেমাদাসার এই সফরের পর বগুড়ার মহাস্থান গড়ের শান শওকত বেড়ে যায়। এরপর থেকে চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস ও কম্বোডিয়া অঞ্চলের পর্যটকরা নিয়মিত সফরে মহাস্থান বেড়িয়ে যায়।
এছাড়াও গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মহাস্থান গড় এলাকায় ফ্রান্স সরকারের আর্থিক সহায়তায় মহাস্থানগড় চলমান নিয়মিত সংষ্কার ও খননকাজের ফলে এই পর্যটন স্পটটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে দিনে দিনে আরো নতুন ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। ফলে পর্যটন খাত থেকে বগুড়া অঞ্চল আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরুতে দেশে করোনা পরিস্থিতি গুরুতর রূপ নিলে মহাস্থানে পর্যটন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে পরিস্থিতির আলোকে সেপ্টেম্বর মাসে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে ফের আন্তঃদেশীয় পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে। মহাস্থান যাদুঘর ও প্রাচীন স্থাপনাগুলো ছাড়াও মহাস্থান মাজার তথা হযরত শাহ সুলতান (মাহী সওয়ার) বলখী (রহ.) এর মাজারে জিয়ারতকারীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে ।
মহাস্থান যাদুঘরের পাশেই পর্যটন কর্পোরেশনের স্থাপনার আশেপাশের দোকান পাটে বেড়েছে কেনাবেচা। মহাস্থানের বিখ্যাত কটকটির বিক্রিও বেড়েছে আগের চেয়ে বহুগুণ, জানালেন কটকটি বিক্রেতা নাসিরুদ্দিন।
এদিকে মহাস্থান গড় ছাড়াও পশ্চিম বগুড়ার রক্তদহের বিল, পাঁচপীরের মাজার, দক্ষিণ বগুড়ার শেরপুরের শালবন ও খেড়–য়া মসজিদেও বাড়ছে পর্যটক। এদিকে পূর্ব বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনটের যমুনার পশ্চিম পাড়েও বেলার দ্বিতীয় প্রহরে প্রচুর মানুষ ভীড় করছে পর্যটক হিসেবে। পর্যটকদের কেন্দ্র করে যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে গড়ে উঠেছে বহু সংখ্যক চা-কফির দোকান। সৃষ্টি হয়েছে শত শত মানুষের কর্মসংস্থান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।