Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলু-পেঁয়াজের দাম কমেছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

কিছুটা বাড়ার পর পেঁয়াজ ও নতুন আলুর দাম আবারও কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজ ও নতুন আলুর দাম। ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে দেখা গেছে, পুরাতন আলুর কেজি আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে গত সপ্তাহে দাম বেড়ে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হওয়া নতুন আলুর দাম কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় চলে এসেছে।

আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আলুর সরবরাহ কম থাকায় গত সপ্তাহে দাম একটু বেড়েছিল। এখন আবার আলুর সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দামও কমেছে। আমাদের ধারণা কিছুদিনের মধ্যে নতুন আলুর দাম আরও কমবে।’

এদিকে, আলুর মতো গত সপ্তাহে দাম বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘বাজারে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন পেঁয়াজ আসছে। এ পেঁয়াজের মানও বেশ ভালো। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। সামনে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।’

আলু ও পেঁয়াজের দাম কমার মধ্যে স্বস্তি দিচ্ছে ডিম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ৮৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ডিমের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বাজারে চাহিদার তুলনায় এখন ডিমের সরবরাহ বেশি। ডিমের আমদানি (সরবরাহ) বেশি হওয়ায় এখন দাম কমেছে। তবে আমাদের ধারণা কিছুদিনের মধ্যে ডিমের দাম বেড়ে যাবে।’
ডিমের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও, ‘গরুর মাংস আমাদের মতো গরিব মানুষের কপাল থেকে উঠে গেছে। ৫৮০ টাকার নিচে গরুর মাংসের কেজি পাওয়া যায় না। এতো দাম দিয়ে গরুর মাংস কিনে খাওয়া সম্ভব না। মাছের দামও কম না। তাই ডিমই আমাদের মতো গরিব মানুষের ভরসা। ডিমের দাম কমলে আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাই।’

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম কিছুটা বেড়ে মানভেদে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিমের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তের (করলা) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘বাজারে এখন বিচি শিম আসছে। এই শিমের চাহিদা বেশি। এ কারণে দামও একটু বেশি। তবে অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। সহসা সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনাও কম। বরং সামনে দাম আরও কমতে পারে।’

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে শিম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে ক্রেতারাও কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। এতে আমাদের বিক্রিও বেড়েছে। মাসখানেক আগে যারা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম), আধা কেজি করে সবজি কিনতেন এখন তারা কেজি কেজি সবজি কিনছেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আলু-পেঁয়াজ

২৬ ডিসেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ