পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দিনাজপুরের হিলি সীমান্ডের শূন্য রেখায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে রাখিবন্ধন উৎসবের সমালোচনা করে বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ গতকাল পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন এ উৎসব ইসলামসম্মত নয়, এ উৎসব দেশের মুসলিম সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এক নগ্ন আগ্রাসন। এ বিষয়ে বিজিবি ও বর্ডার গার্ডকে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
বিজিবি ও বিএসএফের রাখিবন্ধন উৎসব ইসলামসম্মত নয় Ñজমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস রাখিবন্ধনের মাধ্যমে ভাই-বোন পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও কর্তব্য বৃদ্ধি পায়। সে মতে অতি সম্প্রতি দিনাজপুর হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে রাখিবন্ধন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উৎসবে বিএসএফের নারী সদস্যরা আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের কপালে চন্দন টিপ ও হাতে রাখি বেঁধে মিষ্টিমুখ করান। প্রশ্ন হচ্ছে বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী এমন যেকোনো উৎসব করতে পারে কিন্তু বিজিবি সদস্যদের এই হিন্দুয়ানী উৎসবে জড়ানোর কী কারণ থাকতে পারে? এটাতো এক প্রকার সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। আমরা এর নিন্দা জানাই। মুসলিম জাতি জন্মগতভাবেই একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। সুতরাং অমুসলিমদের এ জাতীয় উৎসবে মুসলমানদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া একথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন যে, একদিকে শিক্ষা সিলেবাসে হিন্দুত্ববাদ সংযুক্ত করা অপরদিকে, পর্যায়ক্রমে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ রীতিমতো উদ্বেগজনক।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমির ড. মাওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী এবং সেক্রেটারি জেনারেল ড. এনামুল হক আজাদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সম্প্রতি সীমান্তের শূন্য রেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মাঝে রাখিবন্ধন উৎসবের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, এই উৎসবের খবর মিডিয়ায় পেয়ে আমরা মর্মাহত হয়েছি। তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ভারত সীমান্তে নানা অজুহাতে বাংলাদেশী লোকদের হত্যা করা যেখানে রেওয়াজে পরিণত হয়েছে এবং তা বন্ধ করার জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না, সেখানে বিএসএফের নারী সদস্যদের কাছ থেকে বিজিবি সদস্যদের কপালে চন্দন টিপ নেয়া, হাতে রাখি বাঁধানো আর মিষ্টিমুখ হওয়া আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় ঐতিহ্য ও বিএসএফের হাতে নিহত বাংলাদেশীদের প্রতি নির্মম উপহাস। ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে আমাদের নৈতিক চরিত্র, পারিবারিক শালীনতা ও পবিত্র বন্ধন ধ্বংস করার পাশাপাশি এখন সীমান্তে রাখিবন্ধন উৎসব দেশবাসীকে সাংস্কৃতিক গোলামীতে বন্দী করার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা বলে আমরা মনে করি। এ ঘটনায় বিজিবির কিছু সদস্যের অবিবেচনা প্রসূত আচরণের জন্য আমরা বিজিবি ও বডার গার্ডদের কাছে দুঃখ প্রকাশের দাবি জানানো হয়। সেই সাথে ভারতীয় অশ্লীল চ্যানেলগুলো অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।