পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বলকানদের নস্ট্রেডামাস খ্যাত বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ৫০৭৯ সালে পৃথিবীর ধ্বংস পর্যন্ত ব্যাপৃত। ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা আগে তিনি ব্রেক্সিট ও অন্যান্য বিষয়ে অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ার আক্রমণ, রাজকুমারী ডায়ানার মৃত্যু এবং চেরনোবিল বিপর্যয় সম্পর্কে জানতেন এবং তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলির ৮৫ শতাংশই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০২১ সাল নিয়েও ভবিষ্যদ্বাবাণী করে গেছেন তিনি।
মৃত্যুর আগে ভাঙা বলেছিলেন, ২০২১ সালে ক্যান্সারের নিরাময় মিলবে। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে মানবতা ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবে। এমন দিন আসবে যখন ক্যান্সারকে লোহার শিকলে বেঁধে রাখা হবে।’ তবে হোয়াইট হাউস সম্পর্কে তার ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আগামী বছরটি ভাল যাবে না। ভাঙ্গা বলেছিলেন, ৪৫তম প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ ট্রাম্প সম্ভবত একটি রহস্যময় রোগে অসুস্থ হয়ে পড়বেন যা তাকে বধির করে দেবে এবং তার মস্তিষ্কের ক্ষতি করবে।
ভাঙ্গা এও পূর্বাভাস করেছিলেন যে, ইউরোপের অর্থনীতির পতন ঘটবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে তার নিজের দেশের কেউ হত্যার চেষ্টা চালাবে এবং ইসলামী উগ্রপন্থীরা ইউরোপে হামলা চালাবে। বলা হয় যে, তিনি দাবি করেছিলেন, ‘(উগ্রপন্থীরা) ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রের একটি মজুদ ব্যবহার করবে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বিশ্ব প্রচুর বিপর্যয় ও মহাবিপর্যয়ে ভুগবে। মানুষের সচেতনতা বদলে যাবে। কঠিন সময় আসবে। মানুষ তাদের বিশ্বাস দ্বারা বিভক্ত হয়ে পড়বে।’ ভাঙ্গা বলেছিলেন, ‘আমরা এমন ধ্বংসাত্মক ঘটনাসমূহ প্রত্যক্ষ করছি যা মানবতার ভাগ্য এবং নিয়তি পরিবর্তন করবে।’
তবে তার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণীটি হ’ল, ২০২১ সালে একটি ড্রাগন এই গ্রহটি অধিগ্রহণ করবে। তার দাবি, ‘একটি শক্তিশালী ড্রাগন মানবজাতির ওপর আধিপত্য করবে।’ ভাঙ্গার কথায়, ‘তিনটি শক্তি এক হয়ে যাবে। কিছু লোকের লাল টাকা হবে।’ তিনি বলেছেন, ‘আমি সংখ্যা ১০০, ৫ এবং অনেক ০ দেখতে পেয়েছি। ভাঙ্গার ভাষাগুলোর অনুবাদকারীরা মনে করেন, ড্রাগনটি হ’ল চীন। তিনটি জায়ান্ট রাশিয়া, ভারত এবং চীন হতে পারে এবং অর্থ হতে পারে ১শ’ ইউয়ান এবং ৫ হাজার রুবল। উভয় নোটের রঙই লাল।
প্রয়াত বুলগেরিয়ান মহিলাটি কিছু মজাদার বিষয়ও জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, পেট্রোল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ট্রেনগুলো সূর্যের আলো ব্যবহার করে উড়তে শুরু করবে, পেট্রোল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে এবং পৃথিবী বিশ্রাম নেবে। তিনি আরও মনে করতেন, আগামী ২শ’ বছরের মধ্যে পৃথিবীর মানুষ ভিনগ্রহবাসীদের সাথে যোগাযোগ করবে। তিনি বলেছেন, ‘মহাজগতে জীবন আবিষ্কার হবে এবং হঠাৎ করেই পৃথিবীতে কীভাবে প্রথম জীবনের আবির্ভাব ঘটেছিল তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ অন্য পৃথিবীতে থাকা তার অন্যান্য আধ্যাত্মিক ভাইবোনের সংস্পর্শে আসবে।’
ভাঙ্গার আসল নাম ভ্যাঞ্জেলিয়া গুষ্টেরোভা। তিনি ১২ বছর বয়সে তার দৃষ্টি হারান এবং দাবি করেন যে, ভবিষ্যত দেখার জন্য তাঁকে ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি খুব বিরল উপহার দেয়া হয়েছিল। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ৫০৭৯ সাল নাগাদ মহাবিশ্বের সমাপ্তি ঘটবে এবং এর মধ্যের বছরগুলোর সম্ভাব্য ঘটনাগুলোর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। কেবলমাত্র সময়ই বলবে যে, তিনি সঠিক ছিলেন কিনা। সূত্র : মিরর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।