পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ফ্রান্সে বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পুরো শরীর ঢেকে রাখার ইসলামী এ পোশাকের বিক্রি এবং এর প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অমুসলিম নারীদের মধ্যে এ প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ধর্মীয় এ পোশাকের অস্ট্রেলীয় ডিজাইনার গতকাল একথা জানান।
ফ্রান্সে ধারাবাহিক জিহাদী হামলার ঘটনার পর চরম উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে বুরকিনি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১৫টি শহরে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে লেবানন বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক আহেদা জেনাত্তি জানান, ফ্রান্সে উন্মাদনার কারণে তার এ পোশাক আরো প্রচারণা পাওয়ায় এর প্রতি আকর্ষণ অনেকে বেড়ে গেছে। তিনি জানান, এ পোশাকের ট্রেডমার্ক নাম বুরকিনি। এক দশকেরও বেশি সময় আগে মুসলিম নারীদের সাঁতার কাটার জন্য প্রথম এই পোশাক তৈরি করা হয়। ৪৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার এ ডিজাইনার বলেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে পারি যে, রোববার অনলাইনে আমরা ৬০টি বুরকিনির অর্ডার পেয়েছি। এসবের সবগুলোই অমুসলিম নারীরা অর্ডার দিয়েছেন। সাধারণত: রোববার তিনি ১০ থেকে ১২টি বুরকিনির অর্ডার পেয়ে থাকেন।
ফ্রান্সে মামলার খরচ দেবেন এক ব্যবসায়ী
এদিকে এত বিতর্ক ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফ্রান্সের এক ব্যবসায়ী বুরকিনি পরা নারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন এই নিষেধাজ্ঞা না মানার কারণে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে তাদের মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ তিনি বহন করবেন। আলজেরিয়ান এই ধনকুবের ও মানবাধিকার কর্মীর নাম রশিদ নেকাজ। তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নারীদের তাদের পোশাক পরার স্বাধীনতার পক্ষে এবং অন্যায় একটি আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বুরকিনি পরা সব নারীর মামলার খরচ নিজে বহন করব।’ সূত্র : এএফপি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।