Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষা আইন ও বই সংশোধনের আগে ক্বওমির স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই- আল্লামা শাহ আহমদ শফী

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ ক্বওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) সভাপতি ও হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষার বিভিন্ন স্তর থেকে ইসলামী শিক্ষা ও মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি উদ্দীপনামূলক বিষয়াবলি বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদের বিষয়াবলি যুক্ত করেই সরকার থেমে থাকেনি, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬-এর মাধ্যমে তারা ক্বওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস এবং সনদের স্বীকৃতির নামে আলেমদের শেকল পরাতে চাচ্ছে। এই লক্ষ্যে ক্বওমি মাদরাসাবিরোধী কিছু অপতৎপরতা ইতোমধ্যেই লক্ষ করা যাচ্ছে। দেশের কোনো কোনো জেলায় ক্বওমি মাদরাসাসমূহে নিবন্ধনের নামে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আবার এমনও খবর আসছে, বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ক্বওমি আলেমদের কারো কারো কাছে ক্বওমি শিক্ষাকে সরকারী স্বীকৃতি দেওয়ার টোপ দিয়ে আলেমদের মধ্যে অনৈক্য ও বিবেদের বীজ বুনতে চাচ্ছে। আমরা সব মহলকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই যে, ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি ও বিদ্যমান স্কুল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং প্রস্তাবিত বিতর্কিত শিক্ষা আইনের বিষয়ে আমাদের উত্থাপিত দাবি-দাওয়া পূরণ না করা পর্যন্ত ক্বওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করারও কোনোই সুযোগ নেই।
বেফাক সভাপতি কতিপয় দরবারি আলেমের নানা ধরনের লোভনীয় টোপ ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নাস্তিক্যবাদী চক্র ক্বওমি আলেমদের উপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসকে বিনষ্ট করার জন্য একের পর এক ফাঁদ পেতেই যাবে।
সোমবার বাংলাদেশ ক্বওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে বোর্ডের সভাপতি ও হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতী ওয়াক্কাস, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা মঞ্জুর মুজিব, বেফাক বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতী আবু ইউসুফ, মাওলানা মুনির আহমদসহ প্রায় শতাধিক ক্বওমি মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষা আইন ও বই সংশোধনের আগে ক্বওমির স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই- আল্লামা শাহ আহমদ শফী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ