পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ক্রমেই একটি স্থবির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনে চলছে অচলাবস্থা। এই পরিস্থিতিতে পাউবো’র অধিকাংশ এডিজি ও প্রধান প্রকৌশলীরা ক্ষুব্ধ। তারা এ ব্যাপারে কথা বলতে চান পানিসম্পদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিবের সাথে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পাউবো’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) যুগ্ম সচিব পদর্মযাদার কর্মকর্তা হলেও পাউবো’র জব ডেসক্রিপশান অনুযায়ী যে সমস্ত ক্ষমতা তাদের উপর অর্পিত সেই দায়িত্ব অনুযায়ী তাদেরকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না।
দেখা গেছে, পাউবো’র এই দুই এডিজিসহ অপরাপর এডিজিদের কাজ তদারকী করছেন পাউবো’র নিরংকুশ ক্ষমতার অধিকারী একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নির্দেশেই পাউবো’র সকল নথি চলে, আবার থেমে যায়। অভিযোগ রয়েছে, পাউবো মাঠ প্রশাসনে বদলি, পদোন্নতি পর্যন্ত তার কথার ওপর নির্ভর করে। টাস্কফোর্স নামক একটি কমিটির প্রধান পদে থেকে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক দেশ থেকে আরেক দেশ। সম্প্রতি তিনি কোরিয়া সফর শেষ করে এসে বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। অথচ নদ-নদীর ভাঙ্গনে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষগুলো যখন দিশেহারা; তখন এই কর্মকর্তা কবে আসবেন তার ওপর নির্ভর করছে ভাঙ্গন এলাকার ব্লক ডাম্পিং ও জিও ব্যাগ ফেলার কাজ। এমন এক পরিস্থিতিতে তার ঘনঘন বিদেশ সফর নিয়ে পাউবো জুড়ে বিতর্ক এমন পর্যায়ে গেছে যে, সবার মুখে এখন একই কথাÑ রোম পুড়ছে, আর নিরু বিদেশ সফরে ব্যস্ত।
সূত্র মতে, মাঠ প্রশাসনের এমন দুরবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত মাঠ কর্মকর্তারাও তাদের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে খোলামেলা আলোচনা করতে ইচ্ছুক। মাঠের এসব কর্মকর্তা তাদের সব সমস্যার কথা মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে চান।
এ ব্যাপারে পাউবো’র দায়িত্বশীল এক এডিজি জানান, আমাদের কাজের জবাবদিহিতা আমাদেরকেই করতে হবে। যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে ভবিষ্যতে নিষ্পন্ন প্রতিটি নথির ব্যাপারে কোন মামলা হলে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এডিজিকেই জবাবদিহি করতে হবে। অথচ বর্তমানে এডিজি ও প্রধান প্রকৌশলীরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না। তাদের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, মন্ত্রণালয়ের উচিত জব ডেসক্রিপশান অনুযায়ী যে কর্মকর্তার অধিক্ষেত্র ও ক্ষমতা যতোটুকু ততোটুকু দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিশ্চিত করে দেয়া। সেটা সম্ভব না হলে জব ডেসক্রিপশনে পরিবর্তন আনতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।