পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : যখন একজন রোগীর তলপেটে ব্যথা হয় তখন চিকিৎসকরা ভেবে নেন বাইরের কোনো কিছু খাওয়াতে তার এ অবস্থা হয়েছে নতুবা পেটে টিউমার জাতীয় কিছু হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভারতের অমৃতসর কর্পোরেট হাসপাতালে ঘটলো ভিন্ন ধরনের ঘটনা। রোগী পেটের ব্যথা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা করতে গিয়ে অবাক হলেন চিকিৎসকরা।
কারণ হিসেবে হাসপাতালটির সার্জারি বিভাগের প্রধান যতিন্দ্র মালহোত্রা জানান, তলপেটের ব্যথার কারণে তাদের কাছে এক রোগী আসেন। রোগী সুরজিৎ সিংক প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে পেট ব্যথার কোনো কারণ খুঁজে না পেয়ে তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করান। এ সময় ওই রোগীর পেটে কিছু ধাতব জাতীয় পদার্থ দেখতে পান তারা। এন্ডোস্কোপি ও সিটি স্ক্যান করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন সুরজিতের পেটে ধাতব জাতীয় পদার্থগুলো আর কিছু না, সেগুলো ছুরি। পরে তারা রোগীকে সুস্থ করতে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। পাঁচজন ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠন করা হয় একটি টিম। অপারেশন সফল করতে দুই দিন ধরে পরিকল্পনা করা হয়। যতিন্দ্র মালহোত্রা বলেন, প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। রোগীর পেটের ভেতর থেকে বের হতে থাকে ছুরি। সর্বমোট ৪০টি ছুরি উদ্ধার হয় তার পেট থেকে। ‘আমার দীর্ঘ ডাক্তারি জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অপারেশন ছিল এটি। এরকম অদ্ভুত কেসও আমি আগে কখনও দেখিনি’-যোগ করেন তিনি।
অপারেশনের পর রোগী সুস্থ রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রোগী জানান, প্রায় দুই মাস ধরে এই ছুরিগুলো খেয়েছেন তিনি। রোগী বলেন, আমার কাছে ছুরির স্বাদ ভালো লাগতো। তাই আমি এগুলো খেতাম।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পেটের ভেতর কয়েকটি ছুরি ফলাবন্দী অবস্থায়, কয়েকটি মুক্ত অবস্থায় এবং কয়েকটি মরচে ধরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে ছুরিগুলো সুরজিতের শরীরের ভেতরে কোনো ক্ষতি করেনি। সূত্র : গার্ডিয়ান, এনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।