পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোন বন্দি কোন কারাগারে আছে, তার অপরাধের ধরন, কী কারণে কারাগারে যেতে হলো, মামলার সংখ্যা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, আদালতে হাজিরার তারিখসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণে তৈরি করা হচ্ছে ডাটাবেজের। ওই ডাটাবেজে থাকছে বন্দি কতদিন ও কতবার জেল খেটেছে সেই তথ্যও। শুধু দাগি অপরাধী কিংবা দীর্ঘদিন কারাবন্দি নয়, একদিনের জন্য কারাগারে গেছে, এমন ব্যক্তির তথ্যও থাকবে। ক্লিকের ব্যবধানেই জানা যাবে সব। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) তত্ত্বাবধানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব এই ডাটাবেজের কাজ করছে। বর্তমানে দেশে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার রয়েছে। নিয়মিত বন্দির সংখ্যা এখন ৮০ থেকে ৯০ হাজারের মধ্যে ওঠানামা করে। যদিও ধারনা ক্ষমতা প্রায় অর্ধেক। কারাগারের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ডাটাবেজ তৈরির পর জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার, বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ডাটাবেজটি। এতে জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথও বন্ধ হবে।
ডাটাবেজের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে কারাবন্দি মানেই কিন্তু অপরাধী নয়। আদালতের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যায় না। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরনের ডাটাবেজ আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একবার যাকে গ্রেফতার বা আটক করবে, তার তথ্য ডাটাবেজে চলে যাবে। ডাটাবেজে বন্দির ছবি, বায়োমেট্রিক ছাপ, চোখের মনির স্ক্যান ও আগের অপরাধের রেকর্ডসহ সব তথ্য রাখা হবে। এতে বন্দির নিরাপদ আটকের বিষয়েও স্বচ্ছতা আসবে। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যারা কারাগারে গেছে, তাদের নজরদারিতে রাখাও সহজ হবে। এ ছাড়া, কোন কারাগার থেকে কতজন বন্দিকে আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সঠিকভাবে তাদের কারাগারে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে কিনা, তাও জানা যাবে। প্রত্যেক কারাবন্দির আলাদা প্রোফাইল তৈরি হবে এতে। এতে কোন বন্দির জন্য কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন, সেটাও সহজে জানানো যাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
কারা অধিদফতর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালের জুন থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এবং গাজীপুর জেলা কারাগারে পাইলট ভিত্তিতে কারাবন্দিদের ডাটাবেজের কাজ শুরু হয়। ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) আর্থিক সহযোগিতায় বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এ ডাটাবেজের কাজ শুরু হয়। ওই বছরের (২০১৯) ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এবং গাজীপুর জেলা কারাগারে পাইলট প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর কিছুদিন পর ডাটাবেজ তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয় র্যাবকে। যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে এনটিএমসি। অবশ্য র্যাব ২০১৬ সালেই নিজস্ব উদ্যোগে অপরাধীদের ডাটাবেজ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘র্যাব-প্রিজন ইনমেট ডাটাবেজ’ নামে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল। তখন এটা নিয়ে র্যাব অনেক দূর এগোলেও পরে নানা জটিলতায় স্তিমিত হয়ে পড়েছিল ডাটাবেজটি।
কারাবন্দিদের নিয়ে চলমান ডাটাবেজ প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) কর্নেল মো. আবরার হোসেন বলেন, এটি তৈরির দায়িত্ব এখন পালন করছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। তারা এটা র্যাবের মাধ্যমে করবে। মাঝে খানিকটা থেমে ছিল। পরে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইউএনওডিসি আমাদের সঙ্গে চুক্তিতে আসে। ইতোমধ্যে ৪০ থেকে ৪৫টি কারাগারে কারা কাজ শেষ করেছে। বাকিগুলোর কাজও দ্রুত শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।