Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুয়া ডাক্তারদের মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন চেয়ে রিট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মৃতুদন্ড ও যাবজ্জীবন শাস্তি চেয়ে রিট করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে যথাযথ অংকের আর্থিক ক্ষতি। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট মো. জে.আর. খান রবিন রিটটি করেন। রিটে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিবাদীদের বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভুয়া চিকিৎসকের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা মৃত্যুদন্ডসহ কেন জরিমানা বাড়ানোর সুপারিশ করা হবে না-এই মর্মে রুল নিশি চাওয়া হয়। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব,স্বাস্থ্য সচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটের বিষয়ে অ্যাডভোকেট রবিন খান বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) ও ১৮(১)অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সেবা একটি মৌলিক অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভুয়া চিকিৎসক নিজেকে ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয়, দেশের সাধারণ মানুষ এই সব ভুয়া চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে নানা রকম সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। এমনকি শারীরিকভাবে স্থায়ী অক্ষমতাসহ অনেকেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। অথচ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ধারা ২৮(৩) অনুযায়ী যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেন অথবা প্রতারণামূলকভাবে তার নাম বা পদবীর সঙ্গে নিবন্ধনকৃত মর্মে কোনো শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন তার মিথ্যা পরিচয় দ্বারা কোনো ব্যক্তি প্রতারিত না হলেও তার জন্য তিনি ৩ বছর কারাদন্ড অথবা ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। অন্যদিকে এ আইনের ধারা ২৯ অনুযায়ী কেউ অনুমোদিত মেডিকেল কলেজ অথবা প্রতিষ্ঠান হতে এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি অর্জন না করে তার নামের আগে ‘চিকিৎসক’ বিশেষণ ব্যবহার করলেও অনুরূপ সাজার বিধান রয়েছে। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(সি) ধারা অনুযায়ী খাদ্য ও ওষুধ তৈরি বা বিক্রির জন্য মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীন কারাদন্ড অথবা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ জরিমানার বিধান রয়েছে। মানুষের সার্বিক ক্ষতির দিক বিবেচনা করে উক্ত সাজা যুক্তিযুক্ত। কিন্তু একজন ভুয়া চিকিৎসকের চিকিৎসার কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সাজা খুবই নগণ্য। এ কারণে ভুয়া চিকিৎসকদের সাজা মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন চেয়ে রিট করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃতুদন্ড ও যাবজ্জীবন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ