পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর আনু মুহাম্মদ বলেছেন, খুলনার খালিশপুরসহ দেশের বিভিন্ন মিল এলাকায় হাজার হাজার পাটকল শ্রমিকের পাওনা টাকা পরিশোধ না করেই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেখানে পাওনা পরিশোধ না করে কোনোভাবেই শ্রমিককে তার বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ না করার কথা, সেখানে সরকার নিজেই শ্রম আইন লঙ্ঘন করছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পাটকল-চিনিকল বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অর্থের সংকট নয় বরং সদিচ্ছার অভাবই পাটশিল্পে লোকসানের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছে সর্বজনকথা নামে একটি সংগঠন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মির্জা তাসলিমা সুলতানা বলেন, এ বছর ২ জুলাই ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। করোনা মহামারির মধ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর সরকার যখন বিপুল প্রণোদনার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান ধরে রাখবার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার সেখানে বিপুল জমিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বেসরকারিকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী ও ২৫ হাজার অস্থায়ী শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যদিও সরকার থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল যে পাটকলগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু ইতোমধ্যেই ৬ মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত মিলগুলো খোলার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধের কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই পাটকলগুলো লোকসান করেছে। কিন্তু সরকার যা বলছে না তা হলো, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বা গত পাঁচ দশকে রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলোতে নতুন কোনও বিনিয়োগ হয়নি এবং যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একদিকে, লোকসান ঠেকাতে পাটকল বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হলেও, লোকসানের কারণসমূহ তলিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, শুধু প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেই লোকসানি মিলগুলোকে লাভজনক করা সম্ভব ছিল।
উন্নয়ন অর্থনীতির গবেষক তমা মির্জা বলেন, সরকারি ২৬টি পাটকল বন্ধের পর পাঁচ মাস পার হয়ে গেছে। এখনো ২৩ হাজার বদলি শ্রমিকের পাওনা টাকার খবর নেই। ৮ হাজার দৈনিক শ্রমিক জানেনও না, তারা টাকা পাবেন কি না। স্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা ব্যাংকের চেক পেয়েছেন, তাঁদের নিজস্ব হিসাবের সঙ্গে সরকারের হিসাবের বিস্তর ফারাক। কোথায় তারা নালিশ জানাবেন? কথা ছিল, শ্রমিকের পাওনাদির হিসাব মিলগেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু হয়নি। অথচ পাওনা টাকা পেতে জগতের কঠিনতম শর্তটি জুড়ে দিয়েছে সরকার। কলোনির জমি খালি করতে হবে। কোথায় যাবেন শ্রমিকেরা? দীর্ঘ চার দশক ধরে খালিশপুরে, নোয়াপাড়ায়, ষোলশহরে, ডেমরায় বসত গড়েছেন যে শ্রমিক, তার আসল বাড়ি কোথায়?
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক হাজার থেকে ১২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেত। কিন্তু বহুল আলোচিত সমস্যাগুলোর সমাধানে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
সরকারের পাটকল বন্ধের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার তহবিলের বদলে ৫শ’ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হলো পাটকলগুলো বন্ধ করে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেওয়ার বাজেট হিসাবে। কাজেই এটা পরিষ্কার, অর্থের সংকটে নয় বরং সদিচ্ছার অভাবই পাটশিল্পের লোকসানের মূল কারণ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।