Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গরম কাপড় কেনার ধুম

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

পৌষের শুরুতেই সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরাঞ্চলে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ করে শীত ঝাঁকিয়ে বসায় কম্বলসহ গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। কয়েক দিন ধরেই হালকা শীত পড়ার পর গরম কাপড় কেনাবেচা শুরু হয়। তবে গত শুক্রবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলে কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, কার্ডিগান, শাল, হাতমোজা ও কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। শীত থেকে বাঁচতে সবাই ছুটছেন গরম কাপড়ের দোকানে। বিত্তবানরা ছুটছেন শহরের বড় বিপণি বিতানগুলোয়। আর নিম্ন আয়ের লোকজন গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা বেশ খুশি।

রাজধানীর ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরা আজমপুর, মৌচাক, কর্ণফুলি গার্ডেন সিটি, পলওয়েলসহ বিভিন্ন বড় বড় মার্কেট ও শোরুমগুলোতে যেমন ক্রেতাদের ভিড় তেমনি বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল এসব এলাকার ফুটপাতে বসা গরম কাপড়ের দোকানগুলোয় গতকাল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রাজধানীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে হাত-পা মোজা, টুপি যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি জ্যাকেট, চাদর, কম্বলসহ শীতের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।

মতিঝিলের ফুটপাতে গরম কাপড় কিনতে আসা নাসিমুল বলেন, দু’তিন দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়ছে। মেয়ের জন্য একটা হুডি কিনলাম। দোকানদার দাম চেয়েছিলেন ৮০০ টাকা। দামাদামি করে ৪০০ টাকায় কিনেছি। ছেলের জন্যও একটা নিতে হবে কিন্তু পছন্দ মত পাচ্ছি না। হঠাৎ শীত একটু বেড়ে যাওয়ায় কাপড়ের দামও একটু বেড়ে গেছে বলে তিনি জানান।

গুলিস্তানের ফুটপাতে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন ভ্যানচালক আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে। আগে ভ্যান চালালে শীত বেশি লাগতনা। এখন বাতাসটা খুব কনকনে, শীতে শরীর কাঁপতে থাকে। তাই একটা কম দামে জ্যাকেট কেনার জন্য এসেছি। আমাদের তো আয় কম। তার ওপর শীতের জন্য লোকজন বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও ভালো কাপড় কেনার সামর্থ নেই। তাই ফুটপাতে কিনতে এসেছি। এখান থেকে দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ টাকায় একটা জ্যাকেট কিনতে এসেছি। এখনো পছন্দমতো পাইনি।

ফুটপাতে পোশাক বিক্রেতা মাসুম বলেন, আমাদের দোকানের ক্রেতারা বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের কথা মাথায় রেখে খানিকটা কম দামের পোশাক আমরা নিয়ে আসি এবং তা বিক্রি করি। গত দু’তিন ধরে প্রচন্ড শীত ও কুয়াশা পড়ায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। সবাই সাধ্যমতো পছন্দের জিনিস কিনছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ