পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিগত অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম ৩১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে, যা সংশোধিত লক্ষ্যের চেয়ে ১ হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে ২০ শতাংশই পরিশোধ করেছে শীর্ষ ৩৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আর রাজস্ব পরিশোধে শীর্ষে রয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপ। কাস্টম হাউসের হালনাগাদ পরিসংখ্যান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কাস্টম কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুল্কায়ন কার্যক্রম সহজ করা, খালাস-উত্তর নিরীক্ষার মাধ্যমে ফাঁকিকৃত অর্থ আদায় ও বকেয়া আদায়ে জোর দেয়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে।
কাস্টম হাউসের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরের শুরুতে প্রধান রাজস্ব জোগানদাতা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে ৩৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরে তা সংশোধন করে ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। অর্থবছরের শেষে দেখা যায়, ৬ হাজার ৯৭১টি প্রতিষ্ঠান ৩১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকার রাজস্ব পরিশোধ করেছে। ফার্নেস অয়েল, পিস্টন ইঞ্জিন, রেফ্রিজারেটর, মোটর কার, রেলওয়ে ব্যবহৃত লোহা ও ইস্পাত, পরিশোধিত সয়াবিন, অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ ৩৫ প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, যা মোট আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ।
এতে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসে সবচেয়ে বেশি ৭১৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার রাজস্ব পরিশোধ করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হয়েছে উত্তরা মোটরস থেকে, ৪৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব পরিশোধ করেছে টেলিনরের গ্রামীণফোন, ৩৫৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এছাড়া মেনুকা মোটরস লিমিটেড ২৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, মেঘনা গ্রুপের ইউনাইটেড এডিবল অয়েল ২৬০ কোটি ২৭ লাখ ও তানভীর অয়েল লিমিটেড ২৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, সিটি গ্রুপের ফারজানা অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ১৪৬ কোটি ৪৫ লাখ ও ভট অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ১০৪ কোটি ৮৩ লাখ, কেএসআরএম ২২৬ কোটি ২ লাখ, আজিয়াটা লিমিটেডের রবি ২২২ কোটি ৬৬ লাখ, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন ২১৯ কোটি ৭ লাখ, টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিমিটেড ২১৪ কোটি ৫৪ লাখ, টিকে গ্রুপের শবনম ভেজিটেবল অয়েল ২১৪ কোটি ২০ লাখ, ইউনিলিভার বাংলাদেশ ১৮৮ কোটি ১২ লাখ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ১৮৪ কোটি ২২ লাখ, সিঙ্গার বাংলাদেশ ১৭৯ কোটি ৪৮ লাখ, আরএফএল প্লাস্টিক ১৬২ কোটি ৬২ লাখ, এমআই সিমেন্ট কারখানা ১৪৪ কোটি ৬২ লাখ, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস ১৩৩ কোটি ৭৩ লাখ, বিএসআরএম ১২১ কোটি ৬৭ লাখ, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ১২০ কোটি ৮৪ লাখ, ওয়ালটন ১১৯ কোটি ৫৯ লাখ, এমজেএল বাংলাদেশ ১১৯ কোটি ৩২ লাখ, সেভেন রিং বাংলাদেশ সিমেন্ট কোম্পানি ১০৩ কোটি ১৮ লাখ, নাভানা ৮৩ কোটি ৪৭ লাখ, আকিজ সিমেন্ট ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ, এইচএনএস অটোমোবাইলস ৭৯ কোটি ৫৮ লাখ এবং পিএইচপি গ্রুপ ৬৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার রাজস্ব পরিশোধ করেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম আরও জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মেঘনা পেট্রোলিয়াম অয়েল, যমুনা পেট্রোলিয়াম অয়েল, পদ্মা পেট্রোলিয়াম অয়েল ও ইস্টার্ণ রিফাইনারি থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ হাজার ২১০ কোটি টাকা।
রাজস্ব আয় প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার এহতেশামুল হক বলেন, রাজস্ব আয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বড় ভূমিকা রেখে আসছে। ফলে গত অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। তিনি জানান, কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে শুল্কায়ন কার্যক্রম সহজ করার উদ্যোগ নেয়ায় আয় বেড়েছে। এছাড়া খালাস-উত্তর নিরীক্ষার মাধ্যমে ফাঁকিকৃত অর্থ আদায় ও বকেয়া রাজস্ব আদায়ে জোর দেয়ায় রাজস্ব আয় বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।