Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এসএলআর সংরক্ষণে বিশেষ ছাড় পেল পদ্মা ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণে বিশেষ ছাড় পেল পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক)। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যাংকটিকে এ বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে সরকার। এর আগে এই সুবিধা সরকারি কয়েকটি ব্যাংক পেলেও বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে পদ্মা ব্যাংককে এসএলআর সংরক্ষণে ছাড় দেয়া হলো। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংকের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের বিপরীতে এসএলআর হিসেবে ১৩ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সুবিধা দেয়ার ফলে গ্রাহকের আস্থা নষ্ট হবে। কারণ, এসএলআর রাখা হয় আমানতকে সুরক্ষিত করতে। এভাবে সুযোগ দিলে অন্য ব্যাংকগুলোও একই দাবি তুলবে।
তবে এক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পদ্মা ব্যাংককে বিশেষ ছাড় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সাম্প্রতিক গেজেটে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১২১ ধারায় ক্ষমতাবলে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদের (এসএলআর) রক্ষণীয় মাত্রা মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের বিপরীতে ২০২০ সালের জন্য অন্য‚ন ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০২১-এর জন্য ৬ দশমিক ৫০, ২০২২-এর জন্য ৯ দশমিক ৭৫ এবং ২০২৩ সালের জন্য অন্য‚ন ১৩ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করা হলো। এ আদেশ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভায় উত্থাপিত নথিপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির নগদ জমা সংরক্ষণের হারে (সিআরআর) ঘাটতি ছিল। আর ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এসএলআর সংরক্ষণে ঘাটতি রয়েছে। এ সিআরআর ঘাটতির জন্য ব্যাংকটিকে জরিমানাও করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও দিতে ব্যর্থ হয় ব্যাংকটি।
গত বছরের শুরুতে ফারমার্স ব্যাংকের নাম বদলে হয় পদ্মা ব্যাংক। এরপর ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর দন্ডকৃত সুদ ও জরিমানা মওকুফ চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করে ব্যাংকটি। পদ্মা ব্যাংকের মতো এর আগে প্রবাসী কল্যাণ, বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককেও এসএলআর সংরক্ষণে ছাড় দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকের ৬৮ শতাংশ শেয়ারের অংশীদার এখন রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদ্মা-ব্যাংক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ