Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কেট খুলবে দু-এক দিনেই

বসুন্ধরা সিটিতে আগুনের কারণ উদঘাটিত হয়নি

প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এদিকে সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও গতকাল সোমবার দুপুরে লেভেল-৬ থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
দুপুর দেড়টার ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, তখনো তাদের কয়েকটি টিম আগুন নেভানোর কাজ করছিল। ইঞ্জিনিয়ার অজিত কুমার ভৌমিকের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটির ৫ সদস্যের তদন্ত টিম গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দুই দিনের মধ্যেই মার্কেটটি চালু করা সম্ভব হবে।
গতকাল ইঞ্জিনিয়ার অজিত কুমার ভৌমিক বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখনো পুরোপুরি তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। আগুন না থাকলেও জুতার দোকানে ধোঁয়া আছে। এখন ডাম্পিং চলছে। আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত পানিতে যাতে ভবনের নিচতলার দোকানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত  না হয় সেজন্য নিচতলা থেকে পানি বের করে ফেলার চেষ্টা করছে পরিচ্ছন্নতা-কর্মীরা। চলছে  মার্কেটের ডাম্পিং কাজ। পরিচ্ছন্নতা-কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ভবনের ভেতর থেকে পোড়া স্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা পৌনে ১১টায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল ৬-এর সি ব্লকের একটি জুতার দোকানে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও বসুন্ধরার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা দীর্ঘ ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার ১০ ঘণ্টা পর রাত নয়টার দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। তবে এর কিছুক্ষণ পরই রাত ১০টার দিকে ভবনের সপ্তম তলায় আবারও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ষষ্ঠ তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তারা সব মালামাল নামিয়ে (ডাম্পিং ডাউন) কোথাও আগুন বা ধোঁয়া রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছিলেন। হঠাৎই সপ্তম তলার এ অংশে আগুন জ্বলে ওঠে। রাত ১২টার দিকে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আগুনে মলটির ছয়তলার সি ব্লকের শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, তাদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে তারা প্রচুর পরিমাণে নতুন মালামাল তুলেছিলেন দোকানে। এসব মালামালা পুড়ে না গেলেও আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত পানিতে তা নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা আবু তৈয়ব বলেন, বসুন্ধরা সিটিতে দেশের সবচেয়ে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে। সেগুলো পুরোপুরি কাজ করেছে বলেই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। সি-ব্লকের যে দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, সেটিসহ ছয় থেকে সাতটি দোকান পুড়েছে। রক্ষা করা গেছে ওই তলায় থাকা অন্তত শতাধিক দোকান।  দুই দিনের মধ্যেই বিপণি বিতানটি পুরোপুরি চালু করা যাবে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসও পৃথক তদন্ত কমিটি করছে। আশা করা হচ্ছে, তদন্তে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।







 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কেট খুলবে দু-এক দিনেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ