Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্মের জন্য উগ্রবাদ কল্যাণকর নয়: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

কোনো ধর্মের জন্যও উগ্রবাদ কল্যাণকর নয় বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সমন্বয়ে গঠিত একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে সমস্ত সূচকে এগিয়ে। বাংলাদেশ আজ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্য মডেল। সাম্প্রদায়িকতা রাষ্ট্রকে কুরে কুরে খায়। কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।

গতকাল রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্তের (বীরউত্তম) স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত সূচকে আমরা এখন পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। পাকিস্তানিরা এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ করে। সা¤প্রদায়িকতা রাষ্ট্রকে কুরে কুরে খায়। সুতরাং, কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন সময়ে অনেক নেতা এসেছেন। তারা সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাদের উগ্রবাদীদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে। উগ্রবাদ সামাজের জন্যও যেমন ক্ষতিকর, তেমনি কোনো ধর্মের জন্যও উগ্রবাদ কল্যাণকর নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। যদিও মাঝে মধ্যে গুজব রটানো হয়, গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়, সরকার তা কঠোরভাবে দমন করেছে। ভবিষ্যতেও সেটি কঠোরভাবে দমন করা হবে।
মেজর জেনারেল সি আর দত্তকে নিয়ে তিনি বলেন, সি আর দত্ত একজন অসা¤প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন সাহসী ও সত্যবাদী। সেনাবাহিনীতে চাকরি করে আইয়ুব খানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার মতো সাহস কোনো মানুষের ছিল না। সি আর দত্ত সে সাহস দেখিয়েছেন। তিনি সৎ এবং নিরহংকার মানুষ ছিলেন। সবাইকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা তার মধ্যে ছিল। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
সভায় মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি উষাতন তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ