পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অননুমোদিত ও অবৈধ ভবন সানমুনস্টার টাওয়ার থেকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সরাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে নির্মিত সানমুনস্টার টাওয়ারের ৩০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ষষ্ঠ ফ্লোর ভাড়া নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এই ভবনের দুটি ফ্লোর ভাড়া নিয়েছিল। তবে ভবনটি অবৈধ ও অননুমোদিত জানার পর এখান থেকে চলে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু সরছে না মার্কেন্টাইল। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করা হলেও টনক নড়ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। আট কোটি টাকা অগ্রিম ও ৭৫ টাকা প্রতি বর্গফুট হিসেবে ফ্লোরটি ভাড়া নিয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এই ভবনে ব্যাংকটির গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিভাগ ক্রেডিট ও আইটি ডিভিশন রয়েছে।
সানমুনস্টার টাওয়ার নির্মাণে আইন, বিধি, নীতিমালাÑকোনোটাই মানা হয়নি। নেওয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার অনুমোদন। রাজধানীর দিলকুশায় সরকারি জমির ওপর নির্মাণ করা হয় ৩০ তলা ভবনটি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই ভবনটির দখল নেয় সিটি কর্পোরেশন। এর পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংক এই ভবন থেকে চলে গেলেও মার্কেন্টাইল, সাউথ বাংলা ও অগ্রণী ব্যাংক এখনও এই ভবনে আছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকগুলোর অর্থ। কারণ ভবনটির নির্মাতা ও ভুয়া মালিক মিজানুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাই যেকোনো সময়ে সিটি কর্পোরেশন ভবন থেকে ব্যাংকগুলোকে উচ্ছেদ করে দিলে অগ্রিমের অর্থ ফেরত পাবে না ব্যাংকগুলো।
এই ভবনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবনটি নির্মাণে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও রাজউকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বঙ্গভবনের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেটাও নেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) নীতিমালাও লঙ্ঘিত হয়েছে।
পুলিশের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিজানুর রহমান তার নির্মাণাধীন সানমুনস্টার ভবনের একটি ফ্লোর হেফাজতে ইসলামকে লাঠিসোঁটা রাখার জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। তিনি হেফাজতের ৩০ হাজার কর্মীকে ওই ফ্লোরে রেখে তাদের নাশতা করিয়েছেন।
এমন একটি ভবনে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থাকায় ব্যাংকটি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মসিহুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর শাহা বলেন, ভবনটিতে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় বাংলাদেশ ব্যাংক চলে এসেছে। অন্য ব্যাংকগুলো এখনো কেন আছে, সেটা আমি বলতে পারব না। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ দেখছে কিনা, তা জেনে জানানোর কথা বলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।