Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

জঙ্গিবাদ উপড়ে ফেলতে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের শিকড় সারাদেশে বিস্তৃত। টোকা দিলেই তাদের উপড়ে ফেলা যাবে না। সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে এদের মোকাবিলা করতে হবে, যা যুবলীগ ইতোমধ্যে শুরু করেছে। যুবলীগের এমন সাংস্কৃতিক কর্মকা- অব্যাহত রাখতে হবে।
গতকাল সোমবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির ৬নং গ্যালারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে সংবাদ চিত্রপ্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ চিত্রপ্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের যুবলীগের প্রশংসা করে বলেন, যুবলীগ এখন আর কোনো মাস্তানদের সংগঠন নয়, আদর্শিক কর্মীদের সংগঠন। এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন পড়ালেখা করে। তাদের মধ্যে সৌজন্যতাবোধ তৈরি হয়েছে। রাজনীতিতে এখন যার বড়ই অভাব।
তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে বের হলে দেখা যায়, সৌজন্য পোস্টার, সৌজন্য ব্যানার, সৌজন্য তোরণ। কিন্তু রাজনীতিতে আচরণে কোনো সৌজন্যতা দেখা যায় না। তবে বর্তমান নেতৃত্বের কল্যাণে যুবলীগে এখন সৌজন্যতাবোধও তৈরি হয়েছে। উন্নয়ন কর্মকা-ে ডিজিটাল হলেও আচরণে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য অনুযায়ী যুবলীগের কর্মীদের ট্র্যাডিশনাল থাকার আহ্বান জানান তিনি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস স্মরণে মন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে তা বিএনপি জোট সরকার আর হাওয়া ভবনের কলঙ্ক। এই হামলার ফলে তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি কালিমালিপ্ত। এই কলঙ্ক তারা কখনো মুছতে পারবে না। তিনি জানান, এখনো তার শরীরে ১৪টি স্পিøন্টার আছে, তাই তিনি নামাজের  সিজদায় যেতে পারেন না।
তিনি বলেন, সেদিন তারা ধরেই নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা শেষ হয়ে গেছেন। কিন্তু ইতিহাসের পরিণতি হচ্ছে সেদিন যারা ইতিহাস বদলে দিতে চেয়েছে আজ তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে স্বাধীনতা আর অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলনের দুই উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে কেউ মুছতে পারবে না। গত ৪১ বছরে দেশের সবচেয়ে আপসহীন দৃঢ়চিত্তের স্বাধীনচেতা রাষ্ট্রনায়ক, বিচক্ষণ কূটনীতিক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি মৃত্যুর ভাগারে দাঁড়িয়েও জীবনের জয়গান গান, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকেও সৃষ্টির স্বপ্ন খোঁজেন।
তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের টার্গেট ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আর ২১ আগস্টের টার্গেট ছিলো তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ২১ আগস্ট রক্তের নদী বয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনার জনসভায়। বোমার স্পিøন্টারের আঘাতে তার একটি কান জখম হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে এই হামলায় আহত হয়েছেন। অনেকে এখনো সেই ক্ষত বহন করছেন। আহত, নিহত হয়েছেন অনেকে। সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে অগণিত মানুষ। বিরোধীদলীয় নেত্রীর ওপর এই ধরনের বর্বর হামলার নজির সারাবিশ্বে বিরল।
তিনি বলেন, বিএনপি তখন ক্ষমতায়। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সব আলামত সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট করা হয়েছে। নির্লজ্জভাবে প্রচার করেছিল এই হামলা আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের মাস্টারমাইন্ড করেনÑখালেদা জিয়া। তিনি ২১ আগস্টকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালন করার জন্য আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑআওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরণ, সম্পাদকম-লীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ ফজলে নাঈম, শেখ ফজলে ফাহিম, রওশন জামির রানা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জঙ্গিবাদ উপড়ে ফেলতে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে : ওবায়দুল কাদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ