পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ২১ আগস্টের ঘটনা ইতিহাসের কলঙ্ক বলেছেন আপনি। কিন্তু তখন কোথায় ছিলেন?
গতকাল সোমবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বিএনপি মহাসচিবের প্রতি এ প্রশ্ন করেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, গতকাল আপনি বলেছেন, ২১ আগস্টের ঘটনা ইতিহাসের কলঙ্ক। একুশে আগস্ট নারকীয় হত্যাকা-ের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পল্টন থানায় গিয়েছিলো মামলা করতে। সে দিন ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে প্রতিনিধি দলকে বলা হয়েছিলো উপরের নির্দেশ নেই। জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার উপর হামলার ঘটনায় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে দেয়নি। কোনো আলোচনাও করতে দেয়নি।
তিনি বলেন, আপনার নেত্রী বলেছিলেন, ওই গ্রেনেড শেখ হাসিনা ভ্যানেটি ব্যাগে করে নিয়ে এসেছিলো। সে দিন আপনি কোথায় ছিলেন? তাহলে যে দিন এই হত্যাকা- ঘটেছিলো সে দিন আপনি কোথায় ছিলেন? আপনার লজ্জা করে না? কি করে আপনি সেই নেত্রীর সঙ্গে এখনও রাজনীতি করেন। লজ্জাটা আপনার কোথায়?
পঁচাত্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের অবস্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব সে দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ে নাকি জিয়া জড়িত না, আওয়ামী লীগ জড়িত? আমি বলব, হ্যাঁ ওই হত্যাকা-ে মীর জাফর মোস্তাক জড়িত ছিল। ঠিক তেমনিভাবে জিয়াও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে পরিকল্পনাকারী হিসেবে জিয়া সরাসরি জড়িত ছিল। এর অসংখ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
হানিফ বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা খুনি ছিল এটা শুনলে তাদের (নেতাকর্মী) কষ্ট লাগে। আরে এই দলটিই তো খুনির দল। জিয়া বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তারপর খালেদা ক্ষমতায় এসে হাজার হাজার মানুষ মেরেছে। কিছু দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবির নামে শত শত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। আর তার ছেলে তারেক হাওয়া ভবনে বসে ২১শে আগস্ট হত্যাকা- পরিচালনা করেছিল। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।