পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২২ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত মোবায়েদুর রহমানের ‘বেলুচিস্তান ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করতে হলে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করতে হবে’ শীর্ষক মন্তব্য প্রতিবেদনে ‘কাশ্মীর ও অন্যান্য অঞ্চল’ উপ-শিরোনামের অংশটিতে ইংরেজি উদ্ধৃতি ছিল, যা অসাবধানতাবশত বাংলা ফন্টেই মুদ্রিত হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত। এখানে উক্ত উপ-শিরোনামের মিউটিলেটেড অংশটি পুনরায় ছাপা হলো। -বার্তা সম্পাদক
কাশ্মীর ও অন্যান্য অঞ্চল
আর যদি জাতিগত নিপীড়নের প্রশ্ন ওঠেই তাহলে অবধারিতভাবে উঠে আসবে কাশ্মীরের প্রশ্ন। এটি আমাদের কোনো বক্তব্য নয়। সারা দুনিয়ায় এ খবর প্রচারিত হয়েছে যে গত ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় কাশ্মীরে গণআন্দোলন ঠেকানোর জন্য কারফিউ বা সান্ধ্য আইন বলবৎ রয়েছে। বিগত ১ মাসে ভারতীয় কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৬৬ জন কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এই যে কাশ্মীর একটি বিরোধীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘ জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেছে। এ সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব নিম্নরূপ :
This resolution called for a plebiscite to be held for Kashmir’s citizens. It also called for observers in Kashmir and an enlargement of the UNCIP’s membership. UN Security Council Resolution 47, Kashmir 21 April, ১৯৪৮. বাংলা অনুবাদ : এই প্রস্তাব কাশ্মীরি জনগণের জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাচ্ছে। এই প্রস্তাবে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক এবং ইউএনসিআইপির সদস্যপদ বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছে। (জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব নং ৪৭, কাশ্মীর, তারিখ ২১ এপ্রিল ১৯৪৮।) এই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দুটি যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে। কাশ্মীরের একটি অংশ আকসাই চীন ও অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে ১৯৬২ সালে যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে। সুতরাং জাতিগত মুক্তির প্রশ্ন উঠলে তথ্যমন্ত্রীকে কাশ্মীরের মুক্তি সংগ্রামকেও সমর্থন করতে হবে। তাকে কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাবকেও সমর্থন করতে হবে। কারণ এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব।
অন্যান্য মুসলমানের প্রশ্ন
তথ্যমন্ত্রী ভিমরুলের চাকে ঢিল দিয়েছেন। বেলুচিস্তানে ভারতীয় ভূমিকাকে সমর্থন করলে মিয়ানমারের রাখাইন বা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মুক্তি সংগ্রামকেও সমর্থন করতে হবে। আসামে ২০১১ সালের আদমশুমারি মোতাবেক মোট জনসংখ্যার ৩৪.২ শতাংশ মুসলমান। তারাও অধিকার-বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন।
উত্তর-পূর্ব ভারত
অন্যের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ সংবিধানবিরোধী বলেই উলফা, নাগা প্রমুখ বিদ্রোহী নেতাদেরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারী পদক্ষেপের বিরোধিতা কেউ করেনি। অথচ উত্তর-পূর্ব ভারতের অশান্তি নিয়ে বাংলাদেশই শুধু নয়, বিদেশেও অনেক খবর বেরিয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং সংবাদপত্র কোনো কথা তোলেনি। ওই একই কারণে, সেটি হলো অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার ওপরে উত্থাপিত পয়েন্টগুলো আবেগ বা সেন্টিমেন্টের ঊর্ধ্বে উঠে বিবেচনা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।