পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মিরপুরের সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থী আফসানা ফেরদৌসের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সরকারকে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে তাদের পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। এতে তিনজন আহত হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশে সরকারকে ৭ দিনের সময় দেয়া হয়।
সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকী আক্তারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল তিন দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি অনিক রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সেনগুপ্ত ও সদস্য মাহমুদা খাঁ।
তাদের দাবিসমূহ হলো-আফসানার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান এবং পুনরায় তদন্ত করতে হবে; এই হত্যাকা-ে জড়িত তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাংগনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিনসহ সকলকে গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং সোহাগী জাহান তনু, মাহমুদা খানম মিতুর হত্যাকারীদের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন, গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
এর আগে দুপুর ১২টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে রওয়ানা হয় ছাত্র ইউনিয়ন। মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে টিএসসি হয়ে দোয়েল চত্বর সামনে পৌঁছালে পুলিশের প্রথম বাধায় পড়ে। পরে ব্যারিকেড ভেঙে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে আবারও বাধায় পড়ে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি।
এসময় লাকী আক্তার বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে হত্যাকা-ে জড়িত রবিনসহ সব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে আফসানার মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্তের ফরেনসিক রিপোর্টকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তনু হত্যার প্রতিবেদন নিয়েও এরকম টালবাহনা করা হয়েছিল। একই অবস্থা এখন আফসানার ক্ষেত্রেও। তিনি পুনরায় আফসানার মরদেহের তদন্ত করার দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন লাকী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।