পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ ৫৫ বছর পর আবারও চালু হলো নীলফামারীর চিলাহাটির সঙ্গে ভারতের হলদিবাড়ীর রেলপথে ট্রেন চলাচল। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে থাকা এই রেলপথ পুনরায় চালু হওয়ায় বেজায় খুশি এই অঞ্চলের মানুষজন। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মানবাহি ট্রেন চলাচল শুরু হলেও তাদের এখন দাবি দ্রুত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটার সময় ভিডিও কনফারেন্সে এই রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় চিলাহাটিতে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বাণিজ্য মন্ত্রি টিপু মুন্সি, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দীন, নীলফামারী -৩ আসনের সংসদ সদস্য আদিলুর রহমান, রেল সচিব সেলিম রেজা, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অসংখ্যক উৎসুক জনতা। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি চিলাহাটি রেলস্টেশনসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়।
গতকাল দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাংলাদেশের রেলের ইঞ্জিন সংযুক্ত ভারতের ৩০টি মালবাহি খালি ওয়াগন (বগি) ও ২টি গার্ড বগি নিয়ে ট্রেনটি ভারতের হলদিবাড়ীর দিকে রওনা হয়। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বাঁশি বাজিয়ে ও সবুজ ঝান্ডার সংকেত দিয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন। ধীরগতিতে চলা ট্রেনটি চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার রেলপথ ও মুক্তিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে দুপুর ২টার পর হলদিবাড়ী রেলস্টেশনে পৌঁছে। নানা ফুল, রং, বেলুন ও ফেস্টুনে সাজানো ছিল উদ্বোধনী ট্রেনটি। ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার। ট্রেনের চালক সহিদুল ইসলাম ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে যখন যাত্রা শুরু করেন তখন রেললাইনের দু’ধারে দাড়িয়ে থাকা হাজারো উৎসুক জনতা করতালি ও উল্লাস শুরু করেন। এ সময় অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। উদ্বোধনী ট্রেনটি দেখতে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের সীমান্তেও ছিল সে দেশের অসংখ্যক মানুষের ভীড়। এ সময় দু’দেশের সীমান্তে কড়া নজরদারিতে ছিল বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে বর্তমান সরকার পুনরায় এই রেলপথটি চালু করার উদ্যোগ নেন। তারেই ফলশ্রুতিতে ট্রেন চলাচল শুরু হলো। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এই রুটে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল করবে বলে তিনি জানান। জানা গেছে, চিলাহাটি-হলদিবাড়ীর রেল রুট চালুর ফলে আবারও এ পথে বাংলাদেশ থেকে নেপাল, ভুটান ও ভারতের অঙ্গ রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। এটি ঢাকা থেকে ভারতের দার্জিলিং যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুটে পরিণত হবে। অবারিত হবে দেশের পর্যটনে নতুন দ্বার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।