পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারিবাগ থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায়ও তিনি জামিন পেয়েছেন। এতে তার মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বাকী দুটি মামলার শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এই দুটি মামলায়ও গতকাল আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানী শেরেবাংলা নগর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর মামলায় সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। ওই মামলার তার জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে সেদিন হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন দিয়েছিলেন সাংবাদিক কাজলকে। পাশাপাশি এর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার অপর দুই মামলায় জামিন প্রশ্নের রুল শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেন, এই দুই মামলাসহ তার বিরুদ্ধে থাকা তিন মামলায়ই জামিন পেলেন। তাই সফিকুল ইসলাম কাজলের মুক্তিতে এখন আর আইনগত কোনো বাধা নেই।
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়। পরে গত ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাংবাদিক কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি। পরদিন (৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে সাংবাদিক কাজল কারাগারে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।