Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে ডানপাশের ৩৪ দোকান উচ্ছেদে স্থিতাবস্থা দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ওই ৩৪ দোকান মালিকের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। পরে বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, আমাদের আবেদনকারীদের ৩৪টি দোকান ডানপাশে। আমরা বলেছি কোনো কারণ না দেখিয়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন এবং রুল জারি করেছেন।
এদিকে গতকাল দুপুর থেকে মূল নকশার বাইরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান এবং ইরফান আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করছেন। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদ বলেন, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে ৬৮৯টি অবৈধ দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। মার্কেটের সিঁড়ি, মার্কেটের মধ্যে চলার পথ, লিফট এবং টয়লেটের জায়গা দখল করে এসব দোকান বানানো হয়েছে।

৩৪ দোকান উচ্ছেদে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
ফুলবাড়িয়া মার্কেটের পর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে মূল নকশার বাইরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
গতকাল বেলা ১২ টায় ব্যবসায়ীদের কোনো বাধা ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে বিকালের দিকে হাইকোর্ট দোকান উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় অভিযান বন্ধ করা হয়। মার্কেট এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। অভিযানের শুরুতেই ভেঙে দেয়া হয় মার্কেটের চারপাশ ঘিরে ফুটপাতের ওপর গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো।

ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান এবং ইরফান আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করছেন। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদ বলেন, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে ৬৮৯টি অবৈধ দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। মার্কেটের সিঁড়ি, মার্কেটের মধ্যে চলার পথ, লিফট এবং টয়লেটের জায়গা দখল করে এসব দোকান বানানো হয়েছে। বিপণিবিতানের চারতলা পর্যন্ত বৈধ হলেও অনুমতি ছাড়াই পাঁচতলায় অবকাঠামো নির্মাণ করে দোকান বানানো হয়েছে।

তবে এ মার্কেটের কিছু ব্যবসায়ীর দাবি, এসব দোকান বৈধ করতে সিটি করপোরশনে কয়েক কোটি টাকা জমা দিয়েছেন তারা। সেই টাকার রশিদ এবং ট্রেড লাইসেন্সও তাদের কাছে আছে। উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়ার আগে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দোকান মালিকেরা। উচ্ছেদের আগে তাদের পক্ষ থেকে চারজন আইনজীবী রাসেল সাবরিন এর সঙ্গে দেখা করেন। তাদেরকে মেয়রের সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন ডিএসসিসির ওই কর্মকর্তা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান বৈধ করার আশ্বাস দিয়ে সাবেক মেয়রের সাঈদ খোকনের নাম ভাঙিয়ে যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মনোয়ার হোসেন ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন দোকান মালিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নতুন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম ভাঙিয়ে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন স¤প্রতি দোকানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। যারা মেয়রের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দোকান মালিকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ