পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোবায়েদুর রহমান : ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ‘দি হিন্দুতে’ গত ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওই খবরে বলা হয়, গত বুধবার বেলুচিস্তান ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার প্রতি বাংলাদেশ সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। বাংলাদেশ বলেছে যে, তারা শীঘ্রই বেলুচিস্তানে পাকিস্তানের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর একটি নীতিনির্ধারণী বক্তব্য প্রদান করবে। দি হিন্দুতে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে ভারত সফররত বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেলুচিস্তান। এই পাক বাহিনী বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের টার্গেট করেছিল। তিনি বলেন, ‘জাতিগত আকাক্সক্ষার ব্যাপারে পাকিস্তানের রয়েছে অত্যন্ত খারাপ রেকর্ড। তারা ১৯৭১-এর পরাজয় থেকে কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তারা পূর্ব পাকিস্তানে যে নির্যাতন চালিয়েছিল এখন বালুচ জাতীয়তাবাদীদের প্রতিও একই জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করতে বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে বাধ্য এবং আমরা অতি শীঘ্রই বেলুচিস্তান সম্পর্কে আমাদের সরকারি নীতি ঘোষণা করব। (দি হিন্দু : ১৮ আগস্ট, ২০১৬)।
এম জে আকবরের বক্তব্যের
এক দিন পর
বেলুচিস্তানের পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের তুলনা করেছেন জনাব ইনু। এটি তিনি করেন ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের মন্তব্যের এক দিন পর। ভারতীয় মন্ত্রী তার এই মন্তব্যে বেলুচিস্তানকে ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তানের সাথে তুলনা করেন। বেলুচিস্তান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পরদিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বেলুচিস্তান সম্পর্কে টুইট করেন। তার এই টুইট বার্তা এক দিন পর অর্থাৎ ১৭ আগস্ট বুধবার দি হিন্দুতে প্রকাশিত হয়। এই টুইট বার্তায় এম জে আকবর এই মর্মে আভাস দেন যে ভারত বেলুচিস্তান ইস্যু আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করবে। সেখানে ভারত দেখাবে যে, বেলুচিস্তান বর্তমানে অগ্নিগর্ভ। তার মতে, বেলুচিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলনা করা যেতে পারে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সাথে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে কোনো এক সময় নিউ ইয়র্কে প্রদত্ত এক বক্তৃতায় এম জে আকবর বেলুচিস্তান প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। দি হিন্দুর মতে ভারতের একজন শীর্ষ নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম বেলুচিস্তানের কথা বললেন।
বেলুচিস্তান সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদি
উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৫ আগস্ট সোমবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লাল কেল্লার দুর্গপ্রাকার থেকে কুচকাওয়াজরত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘গত কয়েক দিন থেকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মানুষজন, গিলগিটের লোকজন এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের লোকজন আমাকে প্রচুর ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আমাদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য আমিও ভারতের ১২৫ কোটি মানুষের তরফ থেকে পাকিস্তানের ওইসব অঞ্চলের মানুষদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ এর তিন দিন আগে কাশ্মীর ইস্যুতে অনুষ্ঠিত এক সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পাকিস্তান ভুলে যায় যে, তারা তাদের নিজেদের নাগরিকদের ওপর তাদের জঙ্গি বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করে। এখন সময় এসেছে যখন পাকিস্তানকে বেলুচিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের বিরুদ্ধে নির্যাতন করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’ ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বর্তমানে যে অসন্তোষ চলছে সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান, গিলগিট, বালিস্থান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন।
তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি
১৮ আগস্ট তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এই বক্তব্য ভারতের দি হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরদিন ১৯ আগস্ট শুক্রবার এবং ২০ আগস্ট শনিবার বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় ওই বক্তব্য প্রকাশিত হয়। জনাব ইনুর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষিত সচেতন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, জনাব ইনু বেলুচিস্তান সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা কি বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল বক্তব্য? কারণ তার এই বক্তব্যের পর ৩ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল, বাংলাদেশ সরকারের কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অথচ জনাব ইনু দিল্লিতে জাসদ নেতা হিসেবে সফর করতে যাননি, গিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং তথ্যমন্ত্রী হিসেবেই তিনি ভারত সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারপরেও প্রশ্ন ওঠে যে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মন্তব্য মন্ত্রী সভার বৈঠকে এবং প্রধান মন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার পূর্বে বিদেশের মাটিতে দেওয়া যায় কিনা। আর বাংলাদেশ সরকার যদি এই ব্যাপারে কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণও করে তাহলেও সেটি যথাযথ আনুষ্ঠানিকতা পালনের পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা যায়।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার প্রশ্ন
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করতে বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে বাধ্য এবং আমরা অতি শীঘ্রই বেলুচিস্তান সম্পর্কে আমাদের সরকারী নীতি ঘোষণা করব।’ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার প্রশ্ন তুলে তথ্যমন্ত্রী প্যানডোরার বাক্স উন্মোচন করেছেন। তথ্যমন্ত্রী সম্ভবত সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের (গ) উপ অনুচ্ছেদের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। ওই উপ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সা¤্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন।’ তবে ওই উপ অনুচ্ছেদের মূল অনুচ্ছেদ অর্থাৎ ২৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের ও জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধাÑএই সকল নীতি হইবে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি এবং এই সকল নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র।’
তাহলে সংবিধান সংশোধন
করতে হবে
২৫নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি হবে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি এবং এই সকল নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র। এর পরেও যদি শুধু বেলুচিস্তান নয়, অন্য কোনো অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ অশান্তিতে বাংলাদেশ কোনো একটি পক্ষ অবলম্বন করতে চায় তাহলে তাকে সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ সর্বাগ্রে সংশোধন করতে হবে। একমাত্র তার পরেই কারো অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা যাবে।
সা¤্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ
বা বর্ণবৈষম্যবাদ
এখন যদি তথ্যমন্ত্রী সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের (গ) উপ অনুচ্ছেদ বেলুচিস্তানে প্রয়োগ করতে চান তাহলে প্যানডোরার বাক্স উন্মোচিত হবে। বেলুচিস্তানে কী ঘটছে সে সম্পর্কে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে তেমন একটা খবর প্রকাশিত হয় না। কিন্তু সেখানে যদি সা¤্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদী শাসন ও শোষণ জারি না থাকে তাহলে বাংলাদেশ সেখানে সংবিধানের ২ উপ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে কোনো সমর্থন জানাতে পারবে না। আর যদি জাতিগত নিপীড়ন ও জাতিগত মুক্তির প্রশ্ন ওঠে তাহলে আরো অনেক কথাই উঠবে। বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল বেলুচিস্তান নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন কথা বলেনি। কারণ বললে সেটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠবে।
কাশ্মীর ও অন্যান্য অঞ্চল
আর যদি জাতিগত নিপীড়নের প্রশ্ন ওঠেই তাহলে অবধারিতভাবে উঠে আসবে কাশ্মীরের প্রশ্ন। এটি আমাদের কোনো বক্তব্য নয়। সারা দুনিয়ায় এ খবর প্রচারিত হয়েছে যে গত ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় কাশ্মীরে গণআন্দোলন ঠেকানোর জন্য কারফিউ বা সান্ধ্য আইন বলবৎ রয়েছে। বিগত ১ মাসে ভারতীয় কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৬৬ জন কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এই যে কাশ্মীর একটি বিরোধীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘ জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেছে। এ সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব নি¤œরূপ :
This resolution called for a plebiscite to be held for Kashmir’s citizens. It also called for observers in Kashmir and an enlargement of the UNCIP’s membership. UN Security Council Resolution 47, Kashmir 21 April, , ১৯৪৮. বাংলা অনুবাদ : এই প্রস্তাব কাশ্মীরি জনগণের জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাচ্ছে। এই প্রস্তাবে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক এবং ইউএনসিআইপির সদস্যপদ বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছে। (জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব নং ৪৭, কাশ্মীর, তারিখ ২১ এপ্রিল ১৯৪৮।) এই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দুটি যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে। কাশ্মীরের একটি অংশ আকসাই চীন ও অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে ১৯৬২ সালে যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে। সুতরাং জাতিগত মুক্তির প্রশ্ন উঠলে তথ্যমন্ত্রীকে কাশ্মীরের মুক্তি সংগ্রামকেও সমর্থন করতে হবে। তাকে কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাবকেও সমর্থন করতে হবে। কারণ এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব।
অন্যান্য মুসলমানের প্রশ্ন
তথ্যমন্ত্রী ভিমরুলের চাকে ঢিল দিয়েছেন। বেলুচিস্তানে ভারতীয় ভূমিকাকে সমর্থন করলে মিয়ানমারের রাখাইন বা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মুক্তি সংগ্রামকেও সমর্থন করতে হবে। আসামে ২০১১ সালের আদমশুমারি মোতাবেক মোট জনসংখ্যার ৩৪.২ শতাংশ মুসলমান। তারাও অধিকার-বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন।
উত্তর-পূর্ব ভারত
অন্যের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ সংবিধানবিরোধী বলেই উলফা, নাগা প্রমুখ বিদ্রোহী নেতাদেরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারী পদক্ষেপের বিরোধিতা কেউ করেনি। অথচ উত্তর-পূর্ব ভারতের অশান্তি নিয়ে বাংলাদেশই শুধু নয়, বিদেশেও অনেক খবর বেরিয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং সংবাদপত্র কোনো কথা তোলেনি। ওই একই কারণে, সেটি হলো অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার ওপরে উত্থাপিত পয়েন্টগুলো আবেগ বা সেন্টিমেন্টের ঊর্ধ্বে উঠে বিবেচনা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।