পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের তথ্য বানোয়াট -পরিবারের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : স্থাপত্যের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানা ফেরদৌসের মৃত্যুকে আপাতদৃষ্টিতে ‘আত্মহত্যা’ বলে যে তথ্য ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে তার পরিবার ও ছাত্র ইউনিয়ন। চিকিৎসকের দাবিকে ‘বানোয়াট’ বলে উল্লেখ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ছাত্র ইউনিয়ন ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে আফসানা খুনীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষুব্ধ পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার। তিনি বলেন, তনু হত্যাকা-ের পর হত্যাকারীদের আড়াল করার জন্য তিন দফা ময়না তদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন করা হয়। ছাত্র ইউনিয়ন সুস্পষ্টভাবে আফসানা ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, আফসানার মৃত্যুর পরের ঘটনাবলীই প্রমাণ করে আফসানা হত্যাকা-ের শিকার। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র ক্রমেই নারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। তনু হত্যার বিচার আড়াল করা হয়েছে। একই ঘটনা মিতু হত্যাকা-ের পর দেখা গেছে। আফসানা হত্যাকা-ের বিচারও আগের ঘটনার মতো হবে বলে আশংকা করছে ছাত্র ইউনিয়ন। এসময় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা, স্মারকলিপি পেশ, সারা দেশে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ।
এদিকে গতকাল রোববার সকালে ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের মো. সফিউজ্জামান আফসানার মৃত্যু আপাতদৃষ্টিতে ‘আত্মহত্যা’ বলে গণমাধ্যমকে জানালে পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা হতভম্ব। আফসানার ভাই ফজলে রাব্বী বলেন, আমরা হতভম্ব। এলাকাবাসী যখন বলছে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনতে পেয়েছে তখন কীভাবে ময়নাতদন্তকারী এটাকে আত্মহত্যা বলতে পারলেন? আমি বিশ্বাস করি না, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর তার বন্ধু হাবিবুর রহমান রবিন যে আচরণ করেছে এবং সমঝোতার চেষ্টা করেছে সেটার পর আত্মহত্যা ভাবার কোনও কারণ দেখি না। যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে সেটাকে বানোয়াট উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঘটনা তনুর হত্যাকা-ের মতোই ঘটতে চলেছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। আমরা এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি। শুরু থেকেই বলছিলাম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেখার পর আমরা হত্যা মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি আজকের মধ্যে মামলা দায়ের করা সম্ভব হবে।
এদিকে, আফসানা ফেরদৌস নিহত হওয়ার পর থেকেই ছাত্রলীগের তেজগাঁও কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন লাপাত্তা। গত শনিবার থেকেই কলেজে আসছেন না দাবি করেছেন অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আর কলেজে সক্রিয় নেতা রবিনকে এখন আর নিজেদের কেউ বলে স্বীকারও করছে না ছাত্রলীগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।