পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হককে (১৬) হত্যার দায়ে ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান। আসামি ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসান ও তৌহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। সাজপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা পালাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথাকাটাকাটি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই দিন বিকালে ধানমন্ডি থানার জিগাতলার যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে আসামিরা। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আয়াজের বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছয় ছাত্র ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসান, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার এসআই সাহিদুল বিশ্বাস ৪৭ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।