পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : তাদের মেয়েটি ছিল অসুস্থ। তার জন্য দরকার ছিল পরিবারের যতœ ও ভালবাসা। তাই জো অ্যান ও মানান সাবির এক ব্যতিক্রমী পন্থা গ্রহণ করলেন। জীবনের বেশ কিছু বছর পার করে এসেছেন তারা, সময় কেটেছে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন ও আয়কে ছয়ের ঘরে নিতে, আড়াই হাজার বর্গ ফুটের শক্ত কাঠের মেঝের একটা বাড়ি কিনতে। এখন দু’জনার বয়স ৩৭ বছর, তারা বাস করছেন একটি প্রায় খালি শহরের একপ্রান্তে সাবিরের স্ত্রীর মায়ের অ্যাপার্টমেন্টের ওপরে । এটি একটি ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট যা সাবিরের স্ত্রীর পিতামহ ছয় দশক আগে কিনেছিলেন।
লিন্ডসে হাইটস শহরের এক প্রান্তে অবস্থিত তাদের এ নয়া বাসস্থান। এ শহরে প্রতি তিনটি পরিবারের একটি দারিদ্রের মধ্যে বাস করে। এখানে রাতে যেসব শব্দ শোনা যায় তার মধ্যে গুলির শব্দও আছে। মেয়ে আমিরা সুস্থ হয়ে না ওঠা পর্যন্ত এখানে থাকার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
কেন তারা এখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন? তাদের নতুন প্রতিবেশীরা প্রায়ই এসে আমিরার খবর নেন : সে কি ভালো হয়ে উঠছে? তাদের ছেলে তাজের খবরও নেন তারা : তার পরবর্তী বাস্কেটবল খেলা কবে? এক রাত সাবিরের গাড়ি রাস্তার মাঝখানে অচল হয়ে গেল। যাদের রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হত তারা এসে গাড়িটাকে ঠেলে এনে দিয়ে গেল বাড়িতে। অতএব, এখানকার কালো মুখগুলোর অনেকেই তাদের স্বাগত জানিয়েছে, ভাবেন সাবির দম্পতি।
সাবির বলেন, মনে হল, এমন জায়গাতেই আমাদের থাকা উচিত।
দু’বছর পেরিয়ে গেছে। আমিরা এখন সুস্থ। কিন্তু সাবিররা এ জায়গা ছেড়ে যাননি। বরং গত সপ্তাহান্তে পুলিশের মারাত্মক গুলির ঘটনার পর সৃষ্ট প্রচ- অসন্তোষের প্রেক্ষিতে, যা কিনা বর্ণ ও পৃথকায়নের ফলে সৃষ্ট হতাশার প্রকাশ, তারা এখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা যেখানে রয়েছেন তাতে যে ব্যাপক অথচ ছোট বিষয়টি প্রকটিত হয় তাহল : সীমিত আয়ের সমস্যা মুক্ত ধনী কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলো প্রায়ই দরিদ্র ও বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা সমাজের সাথে বাস করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাস্তব সত্য হল, ২০১৪ সালে আদম শুমারির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমেরিকার বিভিন্ন শহর ও উপকন্ঠের বিচ্ছিন্নতার জন্য শুধু আয়ই দায়ী নয়। আজকের কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলোর পছন্দ অনিবার্যভাবে বর্ণবাদের বাধার সেই ধারা দ্বারা প্রভাবিত যা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে উন্নত মানের বাড়ি কিনতে ও সম্পদ জমা করতে দেয়নি। আজকের প্রজন্ম তা করছে তাদের কাছে অধিকতর স্থিতিশীল সমাজের মধ্যে। এমনকি কালোরা যদি সাদাদের এলাকায়ও বাড়ি কেনে এখন আর তাদের সব সময় অস্ত্রের মুখে পড়তে হয় না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাদা লোকেরা সে সমাজে বসবাস করতে পছন্দ করে যেখানে স্বল্পসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ আছে তা তাদের আয় যাই হোক না কেন।
তবে জাতীয়ভাবে একই আয়ের সাদা ও কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলো এখনো পৃথক জগতের বাসিন্দা।
নিউইয়র্ক, শিকাগো ও লসএঞ্জেলেসের মত আমেরিকার বৃহত্তম মেট্রোপলিটান এলাকাগুলোতে ১ লাখ ডলার বা তার বেশি আয় করা কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলো ২৫ হাজার ডলার আয় করে এমন সাদা পরিবারের সাথে বসবাস করার চেয়ে দরিদ্র এলাকায় বাস করতে পছন্দ করে। এটা বিশেষ করে সেসব এলাকার জন্য সত্য যেখানে পৃথক বসবাসের দীর্ঘকালের ইতিহাস রয়েছে। যেমন মেট্রোপলিটান মিলওয়াউকি।
মিলওয়াউকির কৃষ্ণাঙ্গ প্রধান উত্তর অংশে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা জ্বালানি কর্মকর্তা ও তার স্বামী ৪ হাজার বর্গফুটের একটি বাড়ির মালিক যারা গাড়ি ভ্যালেট পার্কিংয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ করেন। পাশেই রয়েছে এক আর্থিক উপদেষ্টা ও তার স্ত্রীর বাড়ি যা তারা দশ বছর আগে কিনেছেন। এখন তা মূল্য হারিয়েছে এবং তারা এটা বিক্রি করতে পারছেন না। এ রাস্তাতেই এক মহিলা প্রকৌশলি সপরিবারে বাস করেন। তিনি বলেন, সুবিধার জন্যই আমি এখানে আছি। তিনি বলেন, আমি এখান থেকে পালাব না। সূত্র : দি নিউইয়র্ক টাইমস। (অসমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।