পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া সদরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম অনিয়মের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে বগুড়ার সকল মহলে সুপরিচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবু সালেহ মাহমুদ শাহেদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম চামেলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আজিজ আহম্মেদ টকির মেয়ে ফারজানা ইমু সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, বগুড়া সদরের মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাই কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু আগে নিজেই প্রমাণ করুন যে তিনি নিজেই একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।
ওই দুজন ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সদরুল আনাম রঞ্জু এ প্রসঙ্গে জানান, বগুড়া সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাই কমিটির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম ঝন্টু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মেহেরপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শম্ভু নাথ পান্ডের (ভারতীয় তালিকা নং ৬৪৭০) এফ এফ নাম্বার ব্যাবহার করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন। তিনি নিজেই যেহেতু ভ‚য়া তাই ভ‚য়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিতে পারে এমন আশঙ্কায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম আকমল হোসেনের কাছে গত ২২ নভেম্বর নিজেই আবেদন করেছেন। আবেদনে বিদ্যমান যাচাইবাছাই কমিটি স্থগিত করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাইবাছাই কমিটির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানোর অনুরোধসহ আমিনুল ইসলাম ঝন্টুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তার চিঠির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বগুড়া জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্তের জন্য বগুড়া সদর নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলেও তিনি তদন্ত না করে আমিনুল হক ঝন্টুর মাধ্যমেই যাচাই বাছাই করাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, মন্ত্রীর সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযোগটি তদন্তের জন্য বগুড়া সদর নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে। তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার মন্তব্য জানা যায়নি ।
অপরদিকে যাচাইবাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক ঝন্টু বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক গত ২১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত যাছাই বাছাই এর কাজ সম্পন্ন করেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। বিষয়টি বগুড়া সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তিনি প্রমাণ চাইলে তার কাছে সব তথ্য দেখাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।