পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিশু অপহরণের পর হত্যা মামরায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল খালেক, আব্দুশ শুকুর এবং বাহাদুর মিয়া। সরকারপক্ষের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামি পক্ষীয় আপিল শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এএসএম আবদুল মোবিনের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
আসামি আব্দুল খালেকের কৌঁসুলি মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ২০১৩ সালে ৪ জুলাই কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছটার বাসিন্দা নূরুল আলমের শিশুপুত্র হাজী হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় মনি (৬) অপহৃত হয়। পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরদিন সকাল ৭ টায় হোটেল ওশান প্যারাডাইসের পেছনে সাগরের সৈকতে হৃদয়ের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় একই বছরের ৬ জুলাই হৃদয়ের বাবা মো. নূরুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল খালেক, বাহাদুর মিয়া, আবদুস শুক্কুর ও জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, আব্দুল খালেক ও শুকুর মিয়া মিয়ানমারের নাগরিক। আসামি আব্দুল খালেক ও বাহাদুর মিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৭ জুন কক্সবাজারের দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার জসিমকে খালাস দেন। বাকি ৩ জনকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করেন আসামিপক্ষ। অন্যদিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের জন্য ডেথ রেফারেন্স (হাইকোর্টের অনুমোদন) চান সরকারপক্ষ। উভয়ের শুনানি শেষে উপরোক্ত রায় দেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভেঅকেট শিশির মনির বলেন, প্রসিকিউশনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণাদির বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেট কক্ষে আসামি আব্দুল খালেক ও বাহাদুর উপস্থিত ছিলেন। তাই এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আইনের চোখে কোনো জবানবন্দিই নয়। এ যুক্তি গ্রহণ করে আদালত আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
আদালতে বাহাদুর মিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম মামুন, আব্দুল খালেকের পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির, মো. আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী এবং শুক্কুর মিয়ার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে অ্যাডভোকেট শাহনাজ হক শুনানিতে অংশ নেন। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান শুনানি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।