Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনাকালে কৌশল অবলম্বন করে আন্দোলন করুন

কর্মীদের প্রতি গয়েশ্বরের আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাকালে কৌশল অবলম্বন করেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এই বিজয়ের মাসে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিলো সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই বিজয়ের মাসে আনন্দের পাশাপাশি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে গণতন্ত্রের চেতনা বোধ থেকে আবার আরেকটি গণতন্ত্রের যুদ্ধ করতে হবে। যে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ‘হয় মরবো না হলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো’-এই প্রতিজ্ঞা আমাদের করতে হবে। গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে করোনায় আক্রান্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দের আশু আরোগ্য কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, একাত্তরে যারা আমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করে মারা গেছেন সেই শহীদদের রক্তের ঋণ কী পরিশোধ করার দায়-দায়িত্ব আমাদের নাই? যদি থাকে তাহলে আমরা জীবন-জীবিকার জন্য রাস্তায় মরতে পারি তার যে প্রাণশক্তি গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে করোনার কথা বলে আমরা পিছিয়ে যাবে কেনো? আমাদের কোনো না কোনো কৌশল অবলম্বন করে এেিগ্য যেতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলব, বিএনপি আন্দোলন করেছে অতীতে। আপনার মতো লোককে বিএনপির হাওলাত করে আনতে হবে না। আমাদের নেতা, প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে গাজী হয়েছেন, শহীদ হন নাই। বিএনপির পরবর্তীকালে স্বৈরাচার বিরোধী আপোষহীন নেতৃত্বের নাম অথবা গণতন্ত্রের অপর নাম বেগম খালেদা জিয়া-তার কর্মী আমরা। সুতরাং আন্দোলন-সংগ্রামে সফলতা আমাদের আছে, অতীত আমাদের ছিলো, ভবিষ্যতেও আমরা সফল হবো-এই গ্যারেন্টি আমরা দিতে পারি। কিছু বলছি না, কিছু করছি না-তার অর্থ কিন্তু ওবায়দুল কাদের সাহেবকে মুচলেকা দেই নাই আপনাদেরকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী রাখবো। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফেরত আনবো-এইটুকু প্রতিশ্রুতিতে আমি ব্যক্ত করতে চাই।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে মরি নাই। এখন যদি রাজপথে মরি-সেটাই হবে আমার গৌরবের। কিন্তু করোনায় যদি আমার মৃত্যু হয়- খুব কষ্ট পাবো। কারণ করোনা প্রতিরোধের চেয়েও বেশি প্রতিরোধ ব্যক্তিগত-সমষ্টিগত-জাতিগত ভাবে আজকে এই সরকারের অপকর্ম প্রতিরোধ-প্রতিহত করে এই আকাক্সিক্ষত স্বাধীনতার চেতনা গণতন্ত্রকে মুক্ত করে গণতন্ত্র যদি আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।

গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়া ‘গৃহবন্দি’ উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, করোনার শুরুর সময়ে দেশনেত্রীকে রাতারাতি মুক্তি বুঝতে হবে। অর্থ্যাৎ তার চিকিতসার দায়ভার শেখ হাসিনা নেওয়ার সাহস করে নাই, ইচ্ছা প্রকাশ করে নাই। শেখ হাসিনা তাকে মুক্তি দেবে কেনো? আইন আছে, আদালত আছে। আদালতে তিনি জামিন প্রাপ্য। তাহলে আজকে যদি শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশের খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারেন আমাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট কী শেখ হাসিনা তাকে জেল দিয়েছে। খালেদা জিয়া এখন গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসাটাও নিতে পারছেন না।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৌশল-অবলম্বন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ