পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সর্বত্রই রয়েছে হালের বলদের সঙ্কট। ইঞ্জিনচালিত কলের লাঙ্গলই এখন চাষিদের একমাত্র ভরসা। চলতি আমন মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমি আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বলদ ও লাঙ্গল সঙ্কটের কারণে চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা এখন আর হালের বলদ লালন- পালন করছে না। এতে করে চাষি পর্যায়ে রয়েছে হালের বলদের তীব্র সঙ্কট। জমির মালিক ও চাষিরা এখন ধান চাষে কলের লাঙ্গল ট্রাক্টরের ওপরই ভরসা করছে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বলদ লালন-পালন এখন আর পোষায় না। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকের সঙ্কট, মজুরি বৃদ্ধির কারণে বলদ পালনের পরিবর্তে কৃষকরা আগ্রহী গাভী পালনে ও ষাঁড় মোটাতাজাকরণে। এতে করে হালের উপযোগী বলদ কৃষকের গোয়ালে নেই বললেই চলে। কৃষি শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বিকল্প হিসেবে জমি চাষের জন্য কলের লাঙ্গলই তাদের ভরসা। সূত্র মতে, উপজেলায় বর্তমানে ৪ শতাধিক কলের লাঙ্গল দিয়ে জমিতে হালচাষ করা হয়, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। চলতি মৌসুমে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় চাহিদা মোতাবেক কলের লাঙ্গল না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এ মৌসুমে প্রতি বিঘা জমি চাষ হচ্ছে ১২ থেকে ১৩শ’ টাকায়। আবার বিঘাপ্রতি মই দিতেও চাষিদের গুনতে হচ্ছে ২-৩শ’ টাকা। শ্রীপুর উত্তরপাড়ার কৃষক মামুন জানান, কলের লাঙ্গল দিয়ে চাষ করালেও মই না দিয়ে ধান রোপণ করা যায় না। অনেক ঘোরাঘুরি করে বিঘাপ্রতি ৩শ’ টাকা গুনে মহিষ দিয়ে মই দিয়েছেন। ভাংনাহাটি গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, মই দেয়ার জন্য বলদ না পাওয়ায় কলের লাঙ্গলের পেছনে কলাগাছ বেঁধে জমিতে মই দিয়েছি। পটকা গ্রামের ফরিদ জানান, দু’টি হালের বলদ কিনতে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাগে। কৃষকের পক্ষে এত টাকা একসাথে করে বলদ কিনে হালচাষ করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। শ্রীপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, জমি চাষ করলেও টাকার অভাবে নিজেই মই টেনে ধান রোপণ করেছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, সহজ শর্তে কৃষকদের মধ্যে ট্রাক্টর কেনার পাশাপাশি হালের বলদ কেনার জন্য ঋণ সরবরাহ করলে কৃষি জমি চাষে ভোগান্তি কমবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এসব জমিতে চাষ হয় বি-আর ১১, ৪৯, ১০, বিনা-৭, রঞ্জিত, স্বর্ণা, পায়জাম, স্থানীয় জাত কালাজিরা, নাজির, চিনিগুঁড়া। উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, চাষিরা ইতোমধ্যেই ধানের চারা তৈরি করে ফেলেছে। কোথাও কোথাও ধান রোপণ শুরু হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মুয়ীদুল হাসান জানান, আরো দেড় মাস চলবে আমন চাষ। কিছুদিন পর বলা যাবে প্রকৃত চাষের অবস্থা। হালের জন্য চাষ ব্যাহত হবে না এমনটি তিনি আশা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।