পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডাক অধিদফতরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র এবং তার অধিনস্থ ঘনিষ্ট নারীকর্মী রাবেয়া খাতুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার উপ-পরিচালক মো.সালাহউদ্দিন এ নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব ভট্টাচার্য।
তিনি জানান, কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মঙ্গলবার পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি পাঠিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন এসএস ভদ্রের অধিনস্ত ঘনিষ্ট নারী কর্মী রাবেয়া খাতুনও। দুদক পরিচালক বলেন, সুধাংশু শেখর ভদ্র এবং পরিদর্শক রাবেয়া গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন-এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ডাক অধিদফতরের কয়েকটি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ইমিগ্রেশনে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাত, ভারতে পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এসএস ভদ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান করছে দুদক। ভদ্রের অবৈধ সম্পদের বেনামী জিম্মাদার সন্দেহে ডাক অধিদফতরের পরিদর্শক রাবেয়া খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক।
প্রসঙ্গত: পোস্ট-ই সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি’ প্রকল্প সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন না করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের’ তথ্য-প্রমাণ দিয়ে ‘দৈনিক ইনকিলাব’ একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় পৃথক ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সবগুলো তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ মেলে। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)ও পৃথক অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র করোনা পজেটিভ হয়েও সেই তথ্য গোপন করে গণভবনে অনুষ্ঠিত ‘ডাক টিকিটি উন্মোচন’র এক অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছাকাছি চলে যান। এ ঘটনায়ও একাধিক তদন্ত কমিটি হয়।
এদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ১ সেপ্টেম্বর ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ভদ্রের অবৈধ সম্পদের বেনামী জিম্মাদার হিসেবে তার ঘনিষ্ট অধিনস্থ নারী সহকর্মী পরিদর্শক রাবেয়া খাতুনের বিষয়েও অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তার এবং তারপরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়।
সীমাহীন দুর্নীতি,করোনা তথ্য গোপনসহ নানা অভিযোগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটি এসএস ভদ্রকে অপসারণের সুপারিশ করে। পরে ১২ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মকর্তার এক মাসের অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করে ডাকা ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। মহাপরিচালক হিসেবে কার্যক্রম দেখাশুনার দায়িত্ব দেয়া হয় অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সিরাজউদ্দিনকে। আগামি জানুয়ারি পর্যন্ত এসএস ভদ্রের চাকরির বয়সসীমা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।