পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল অ্যান্ড কলেজের ডাক্তারের অবহেলায় আবারও রোগী মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার মেঘনা হসপিটাল থেকে আসা শাহনাজ বেগম নামে সিজারের এক মহিলা রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত হসপিটালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এর আগে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিতে না দেয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ আত্মীয়-স্বজনদের। মৃত শাহনাজ বেগম কুমিল্লার মেঘনা থানার রতনপুর গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী।
মৃত শাহনাজ বেগমের স্বামী মনির হোসেন জানান, গত সোমবার কুমিল্লার মেঘনা হসপিটালে তার স্ত্রীর সিজারে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পরে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে এনে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে আইসিইউতে থাকা রাইসুল ইসলাম নামে একজন সেখানেই চিকিৎসা নিতে বলেন। চিকিৎসা শুরুর পর কোন আত্মীয়-স্বজনকে রোগী দেখতে সুযোগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৫ হাজার টাকার ওষুধ ক্রয় করতে বলা হয় রোগীর পরিবারকে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রোগী মারা গেছেন বলে ডাক্তাররা রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের জানান।
তবে স্বজনদের অভিযোগ আরও আগেই তাদের রোগী মারা গেছে। যা প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের চিকিৎসকরা গোপন করেছিলেন বিল বাড়ানোর জন্য। এ বিষয়ে জানতে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
৯৯৯-এ স্বজনদের ফোন পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফয়সাল আলম জানান, অসুস্থ অবস্থায় মেঘনা থেকে প্রো-অ্যাকটিভে রোগীকে নিয়ে আসে স্বজনরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রোগী। তবে স্বজনরা লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। তারা লাশ নিয়ে চলে গেছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। যা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন ভুক্তভোগী স্বজন এবং স্থানীয়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।